কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

স্বাস্থ্যের ব্যয়কে উন্নয়নের কৌশলগত বিনিয়োগ ভাবুন

ঢাকা পোষ্ট সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:২৮

সরকারি হাসপাতালই স্বল্প আয়ের মানুষের ইনপেশেন্ট স্বাস্থ্য সেবার মূল ভরসা। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের বহুমুখী সীমাবদ্ধতা আমাদের অজানা নয়। উপযুক্ত জনবল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর অপর্যাপ্ততাসহ নানা সংকটে বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালই সেবাদানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।


অন্যদিকে রয়েছে আর্থিক বরাদ্দের অপর্যাপ্ততার পাশাপাশি প্রাপ্ত বরাদ্দ পুরোপুরি এবং সঠিকভাবে ব্যয় করতে না পারা। ইনপেশেন্ট স্বাস্থ্য সেবার প্রথম ধাপে অর্থাৎ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় এই সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।


তাই অনেক মানুষ ইনপেশেন্ট স্বাস্থ্য সেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবর্তে উচ্চতর সেবা কেন্দ্রে (যেমন জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা বিশেষায়িত হাসপাতাল) ভিড় করে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোয় বেড খালি থাকে, অথচ উচ্চতর সেবা কেন্দ্রে বেড সংখ্যার দেড় থেকে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হতে দেখা যায়। তাই উচ্চতর সেবাকেন্দ্র গুণগত সেবা দিতে পারে না। 


এক গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চতর সেবা কেন্দ্রের পরিবর্তে যদি নিকটবর্তী সেবা কেন্দ্র (যেমন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা জেলা হাসপাতাল) থেকে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারতো তাহলে ব্যক্তির যে পরিমাণ অর্থ এবং সময় সাশ্রয় হতো তার মূল্য বছরে চার হাজার কোটি টাকার বেশি।


অন্যদিকে, ব্যক্তির পকেট থেকে স্বাস্থ্যের ব্যয় বহন করতে গিয়ে প্রতিবছর বাংলাদেশের ৫ -৬ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্য সীমার নিচে  পতিত হয়। রাষ্ট্রের বিভিন্ন দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি দিয়ে বছরে যতটুকু দারিদ্র্য বিমোচন হয়, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের খরচ মেটাতে গিয়ে  তার থেকে বেশি পরিবার দারিদ্রে পতিত হয়।  


স্বাস্থ্যে বিনিয়োগকে দারিদ্র্য দূরীকরণের কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করলে এতদিন দারিদ্র্য সিঙ্গেল ডিজিটে আনা সম্ভব হতো। স্বল্প আয়ের মানুষের ইনপেশেন্ট স্বাস্থ্য সেবা সহজতর করার মাধ্যমে দারিদ্র্যে পতিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের পথ খুঁজতে হবে।


এই ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তা হলো বর্তমান প্রচলিত 'ইমপ্লিসিট বেনিফিট প্যাকেজ'-কে এক্সপ্লিসিট বেনিফিট প্যাকেজ-এ রূপান্তর করে প্রতিটি পরিবারের জন্য বছরে ন্যূনতম এক লাখ টাকার ইনপেশেন্ট চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করা। এতে জনগণকে ইনপেশেন্ট স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতে ক্ষমতায়িত হবে, যা সেবাদানকারীসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিতে তাড়িত করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও