ফিরে আসা প্রবাসী শ্রমিকদের কথাও ভাবতে হবে

জাগো নিউজ ২৪ এরশাদুল আলম প্রিন্স প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৪

কাজের খোঁজে প্রতিবছরই অনেক শ্রমিক বিদেশে পাড়ি জমান। আবার প্রতিবছর ফিরেও আসেন অনেক শ্রমিক। অর্থনৈতিক সংকট, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সীমিত কর্মসংস্থানের জন্য অন্যান্য দেশেও কাজের সুযোগ কমে যাচ্ছে। আবার কাজের সুযোগ থাকলেও জীবন যাত্রার ব্যয় নির্বাহ করে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ওই সব দেশে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।


দৈনন্দিন জীবনের নির্বাহ ও ইকামা বা ওয়ার্ক পারমিটের খরচ জোগাড় করার পর সঞ্চয় বা দেশে পাঠানোর মতো কিছু আর থাকে না। তাই অনেকে দেশে ফিরে আসছেন। সেই সাথে মাথায় ঋণের বোঝা। ধারকর্য করে বিদেশে যাওয়ার পর ধার শোধ করতেই লেগে যায় কয়েক বছর। কাজেই, দারিদ্র্য ও জীবনসংগ্রামের চক্র থেকে প্রবাসী শ্রমিকরা বের হতে পারেন না।


বিদেশে যেতেও তাদের অনেক টাকা ঋণ করে যেতে হয়। ভারত, নেপাল বা শ্রীলঙ্কার এক কর্মীর যেখানে ১৫–২০ হাজার টাকা লাগে, সেখানে আমাদের একজন শ্রমিকের লাগে কয়েক লাখ টাকা। সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি সক্রিয় না থাকায় সে স্থলে সক্রিয় দালাল চক্রের জন্য এতো বেশি টাকা খরচ করে শ্রমিকরা বিদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।


এক হিসাব বলছে যারা বিদেশে যায় তাদের ২০ শতাংশ কর্মী চুক্তি অনুযায়ী কাজ পায় না। তারা কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হন না হয় দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে বিদেশে গিয়ে জেলে দিন কাটাচ্ছেন। সাগর, জঙ্গল পাড়ি দিয়ে বিদেশে গিয়ে আশ্রয় নেন জেলে। নারী কর্মীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। যৌন নির্যাতনের শিকার হন বেশি কিছু নারী শ্রমিকরা।


এভাবে নানা নির্যাতনের পর যারা দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন তাদের পাশে না আছে আমাদের সরকার, না রাষ্ট্র। অনেকে সংসার, প্রিয়জন, পরিবার সবই হারান। তাদের পাশে কেউ নেই। তাদের সংগ্রাম শেষ হয় না। বয়স যাই হোক, আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে হয়।


অথচ তাদের পাঠানো টাকা নিয়ে আমাদের কতো দুশ্চিন্তা। টাকা বেশি পাঠালে রিজার্ভ ভালো, কম পাঠালে অবস্থা খারাপ। দেশের অর্থনীতির দুই বড় শক্তি হলো বৈদেশিক শ্রমিক ও দেশীয় পোশাক শিল্প। অথচ এই দুই খাতের শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও বঞ্চিত। তাদের কোনো অভিভাবক নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও