বিএনপির অপেক্ষা দীর্ঘ হবে

www.ajkerpatrika.com মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৭

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আমাদের দেশের অন্যতম দুটি বড় ও জনপ্রিয় দল। তবে দল দুটির জীবনবৃত্তান্ত এক রকম নয়। আওয়ামী লীগের জন্ম মানুষের প্রয়োজনে, মানুষের মধ্য থেকে। আর বিএনপির জন্ম ক্ষমতার বৃত্তে থেকে ক্ষমতালোভীদের প্রয়োজনে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বিএনপির জন্ম স্বাধীনতার পর, সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুই দলেরই দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা আছে। এর বাইরে আরেকটি শাসক দল আরেক সামরিক একনায়ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি। এখন দেশের মানুষ মূলত হয় আওয়ামী লীগ, না হয় বিএনপির সমর্থক। এর বাইরে আরও অনেক রাজনৈতিক দল আছে, কিন্তু সেই সব দলের জনসমর্থন তেমন নেই। বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে একসময় সিপিবির জনসমর্থন দৃশ্যমান হয়ে উঠলেও এখন এই দলের শক্তিসামর্থ্য ক্রমহ্রাসমান। সিপিবি ছাড়াও দেশে আরও বামপন্থী দল আছে। তবে সবগুলোরই বনসাই দশা।  


স্বাধীনতার পর দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হলেও জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দেশে অনেক ইসলামি দল জন্ম নিয়েছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী জামায়াত-মুসলিম লীগের মতো দলও এখন রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা দলগুলো একটি দলের ছাতার নিচে এলে তাদের শক্তি খুব উপেক্ষা করার মতো হতো না বলেই আমার ধারণা।  


দেশের রাজনীতি এখন মোটা দাগে দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, অন্য ভাগের নেতৃত্বে বিএনপি। ডানপন্থী ও বামপন্থী দলগুলো এ দুই দলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাববলয়ে আছে। কোনো কোনো দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে সমদূরত্বের নীতির কথা বললেও তাদের রাজনৈতিক কৌশল বাস্তবে হয় আওয়ামী লীগের পক্ষে যায়, না হলে বিএনপির। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও দলগুলোর এই চিত্রই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে অন্তত ২৬টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আর বাকিগুলোর অবস্থান ভোটের বিরুদ্ধে।


নির্বাচনে ছোট দলগুলোর মধ্যে কারা অংশ নিচ্ছে বা নিচ্ছে না, তা নিয়ে দেশের মানুষের খুব আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। মানুষের আগ্রহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিয়ে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোট নিয়ে মানুষের উৎসাহ একটু কম হওয়ারই কথা। তবে এবার ভোটের হাওয়া গরম হয়ে উঠবে অন্য কিছু কারণে। প্রথম কারণ জোট বা মহাজোটের ব্যানারে ভোট হবে কি না। হলে মিত্রদের জন্য আওয়ামী লীগ কতটা আসন ছাড়বে। দ্বিতীয় আরেকটি কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অপবাদ ঘোচাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উৎসাহিত করায় যত স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখা যাচ্ছে, তাতে শেষ পর্যন্ত দলের মনোনীত প্রার্থীদের নাকানিচুবানি অবস্থা না হয়! মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর আসল চিত্রটা ফুটে উঠবে। তখন না হয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আজকের আলোচনাটা সীমাবদ্ধ রাখি বড় দুই দল নিয়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও