
বিএনপির ‘বর্জনের ভোটে’ স্বতন্ত্র ও দলছুটদের ভিড়
বিএনপি ও তার সঙ্গে থাকা দলগুলো শেষ পর্যন্ত আসেনি, পাল্টায়নি ভোটের তফসিল। ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি, তাদের জন্য পুনর্ভাবনার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে। ফিরে এসেছে দশম সংসদ নির্বাচনের স্মৃতি।
এক দশক আগের ভোট বর্জনের পুনর্মঞ্চায়নের মধ্যে দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্যে সংখ্যা ও ‘চরিত্রগত’ বেশ কিছু পার্থক্যও আছে।
২০১৪ সালেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ও তার মিত্রদের বর্জনের ডাকের মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল। এবারও তাই।
ভোট বর্জনের পাশাপাশি তা প্রতিহতের চেষ্টায় হরতাল অবরোধ হয়েছে তখনও। সেসব কর্মসূচিতে ব্যাপক সহিংসতায় প্রাণ গেছে শতাধিক মানুষের। এবারও হরতাল অবরোধ চলছে টানা, তবে সহিংসতার মাত্রা কম।
দশম সংসদ নির্বাচনের অংশগ্রহণ প্রশ্নেও জাতীয় পার্টিতে ছিল নানা নাটকীয়তা, এবারও সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখে শেষ দিকে এসেছে ভোটে আসার ঘোষণা। তবে দলের মধ্যে বিভেদ কাটেনি। রওশন এরশাদ ও তার অনুসারী নেতারা নির্বাচন থেকে দূরে।
দশম সংসদ নির্বাচনের চিত্রটা ছিল উল্টো। রওশন ও তার অনুসারীরা ছিল ভোটে। জি এম কাদের ও এরশাদ অনুসারীদের অনেকেই ছিলেন ভোট থেকে দূরে।
তবে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ১২টি দল, তবে এবার দলের সংখ্যা অনেক বেশি। নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ভোটে এসেছে ৩০টি। নিবন্ধিত এসব দলের সঙ্গে জোট করে আছে অনিবন্ধিত আরও বেশ কিছু দল।