অতিরিক্ত ডিভাইসনির্ভরতায় নতুন প্রজন্মের ঝুঁকি

বণিক বার্তা ড. মো. আব্দুল হামিদ প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১১

অন্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন। নিজের রূপ বা গুণের প্রশংসা চান না এমন মানুষ আজকাল সত্যিই বিরল। কিশোর ও তরুণদের মাঝে এ প্রবণতা স্বভাবতই বেশি থাকে। হয়তো সে কারণেই আগে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠীদের কাছে স্মার্ট বলে গণ্য হওয়ার বিশেষ চেষ্টা লক্ষ করা যেত। সেই লক্ষ্যে অনেকেই বিশেষ দক্ষতা ও গুণাবলী অর্জনে সচেষ্ট থাকত। এই ধারায় আকস্মিক বড় পরিবর্তন আনে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টারনেটের বিপুল বিস্তার। এখন প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হাতে রয়েছে একাধিক টিভি চ্যানেল! তারা চাইলেই নিজের বৈশিষ্ট্যগুলো টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে তুলে ধরতে পারে। এমনকি শুধু ভাঁড়ামো বা আপত্তিকর অডিও-ভিডিও ছেড়েও অনেকে সেটা অর্জনে সচেষ্ট রয়েছে। 


এই ধারায় রাতারাতি সফলতা পেতে বহু অভিভাবক অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদেরও ব্যবহার করছেন। গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপনে শিশুদের ব্যবহার বেশ পুরনো চর্চা। কারণ শিশুর প্রতি স্নেহ সার্বজনীন ও খুব কার্যকর এক হাতিয়ার। তাই জন্মগতভাবে সুন্দর অবয়ব বা আদুরে গলায় কথা বলতে পারা শিশুর অভিভাবকেরা চ্যানেল খুলে তাদের ভিউ বাড়াতে ব্যস্ত। সেগুলোর বিষয়বস্তু নিত্যদিনের খুনসুটি, নাচ-গান, উদ্ভট আচরণ প্রভৃতি। অন্যদিকে ধর্মীয় আলোচনার মঞ্চে কৈশোর না পেরুনো শিশুদের দিয়ে পাকা পাকা কথা বলানো হয়। নিজে কৈশোর না পেরুলেও আঙুল নাচিয়ে যুবকদের নসিহত করতে দেখা যায়! আপাতদৃষ্টে কিছু ভিউ বা লাইক মা-বাবাকে তৃপ্ত করতে পারে। কিন্তু তারা বোঝেন না যে এর মাধ্যমে নিজেদের সন্তানদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন।  


আমরা জানি, প্রত্যেক কাজের জন্য উপযুক্ত বয়স থাকে। খুব ব্যতিক্রম, অনন্য মেধাবী কিংবা মিরাকল বেবি হলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সাধারণ ক্ষেত্রে অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণ, গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া এবং সেটা টেকসই করার জন্য শক্ত ভিত দরকার হয়। সৃজনশীল নানা ক্ষেত্রে যারা উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছেন তারা জীবনের প্রথম পর্যায়ে অমানুষিক পরিশ্রম করে, নানা ত্যাগ স্বীকার করে আজকের ‘তারকা’ পর্যায়ে এসেছেন। জীবনের একটা পর্যায় পর্যন্ত কেউ তাদের চিনত না। সেভাবে পাত্তা দিত না। তখন নীরবে-নিভৃতে তারা প্রত্যাশিত ক্ষেত্রে চর্চা ও সাধনা করে গেছেন। ফলে তারা যখন লাইমলাইটে এসেছেন তখন তা ক্যারি করতে সমস্যা হয়নি। তাদের সফলতা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই হয়েছে। অনেকে জীবনভর নিরলস চেষ্টা ও সাধনায় সেই অর্জন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নানা প্রলোভন বা পরিবর্তিত পরিস্থিতি তাদের বিচ্যুত করতে পারেনি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও