গোল্ডেন এ প্লাসের ভবিষ্যৎ কী?
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ২৬ নভেম্বর ২০২৩-এ প্রকাশিত হয়েছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের যারা এই পরীক্ষায় যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করল তাদের অভিনন্দন। তাদের অনেকের মধ্যেই আনন্দের বন্যা।
২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ২০২২ সালের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে ৭.৩১ শতাংশ। ২০২২ সালে পাসের গড় হার ছিল ৮৫.৯৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের ছাত্রীদের পাসের হার ৮০.৫৭ শতাংশ, ছাত্রদের পাসের হার ৭৬.৭৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়ার হার প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।
২০২৩ সালে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৪৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০.৬৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৩.৮১ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫.৩৪ শতাংশ ও রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৮.৪৫ শতাংশ। প্রতিটি বোর্ডেই পাসের হার উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমেছে।
প্রশ্ন হলো, এবার যেসব শিক্ষার্থী গোল্ডেন এ বা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে এবং যারা আজ তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফলে উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত—তাদের সামনের গন্তব্য কী? কী করবে তারা? এসব শিক্ষার্থীর অধিকাংশ অবশ্যই উচ্চশিক্ষার পথ বেছে নেবেন। উচ্চশিক্ষার পথগুলোর মধ্যে প্রধানত তারা মেডিকেল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রচেষ্টা চালাবেন।
ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার। ২০২৩ সালে কেবল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীই কাঙ্ক্ষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চান্স পাবেন? অবশ্যই নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী কম জিপিএ পেয়েও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ভর্তি নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেননি বা এবারেও পারবেন না বলেই ধারণা করা যায়।