কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


উন্নয়ন ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রাখার নীতি এখনো আমরা গড়ে তুলতে পারিনি

ড. মো. নিয়ামুল নাসের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট করেছেন তিনি। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) মেম্বার ফেলো। দেশের মেগা প্রজেক্টের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাস। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও অধিকারের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আল ফাতাহ মামুন

গত ৫০ বছরে আমাদের অর্থনীতি অনেক বড় হয়েছে। অনেক সূচকেই আমাদের অগ্রগতি তাক লাগানোর মতো। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কিংবা পরিবেশের ক্ষেত্রে আমরা কি সমান তালে এগোতে পেরেছি বলে মনে করেন? 

ড. মো. নিয়ামুল নাসের: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কিংবা পরিবেশের ক্ষেত্রে আমাদের ডেভেলপমেন্ট অবশ্যই হয়েছে। আমরা অন্তত জানি আমাদের কী কী বন্যপ্রাণী আছে। আমাদের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালেই আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন মরহুম জাকির হুসাইন স্যার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আমাদের পলিসি কী হবে অর্থাৎ আইনি কাঠামোটা দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সিকিউরিটি অ্যাক্ট হয়। শুরুটা কিন্তু করেছিলেন আমাদের শিক্ষকরা। আমি বলতে চাচ্ছি, বন্যপ্রাণী সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। বাংলাদেশের প্রথম এ বিভাগেই বন্যপ্রাণী তত্ত্ব শাখাটি খোলা হয়। ষাটের দশক থেকেই বন্যপ্রাণী নিয়ে এ বিভাগ থেকে নানা কাজ হতে থাকে। বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী নিয়ে যারা কাজ করেছেন, তাদের সূতিকাগার হিসেবে আমাদের বিভাগ ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এখন ডিপার্টমেন্ট হয়েছে, সাবজেক্ট হয়েছে; এগুলো তো বন্যপ্রাণী সম্পর্কে ডেভেলপমেন্টেরই চিত্র বলে মনে করি।

এ সচেতনতা কেবল প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে যে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী আছে তাদের মধ্যে বন্যপ্রাণীর অধিকারের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে কি?

ড. মো. নিয়ামুল নাসের: সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের ভেতর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতনতাবোধ বেড়েছে কিনা বা তৈরি হয়েছে কিনা এ বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা একটি কমিটমেন্ট। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, পৃথিবীর যে রিসোর্স আছে তা দিয়ে পৃথিবী আমাদের সবাইকে খাবার দিতে পারবে। কিন্তু আমাদের যে লোভ-লালসা সেটা পূরণ করার সাধ্য পৃথিবীর নেই। আমাদের লোভ তো অসীম। বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রেও এখন তাই হয়েছে। কোনো বিষয় আমরা জানি কিন্তু মানি না—সমস্যাটা এখানেই। আমাদের আপামর জনতা বন্যপ্রাণীর অধিকার সম্পর্কে জানে তবুও ভুল স্বীকার করে না। তারা জানে এ প্রাণী বা মাছ বধ করা যাবে না, তবুও লোভের বশে তারা সেটাই করছে এবং এটা যে ভুল সেটা তারা স্বীকার করে না। বন্যপ্রাণী মাত্রই ক্ষতিকারক, তাদের দেখা মাত্রই মেরে ফেলতে হবে—এ ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। 

গত এক যুগে বিভিন্ন খাতে সরকারের বরাদ্দ কয়েক গুণ বেড়েছে। সে তুলনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকারের বরাদ্দ যথেষ্ট কি?

ড. মো. নিয়ামুল নাসের: বিষয়টা একটু অন্যভাবে দেখতে হবে। আমাদের উন্নয়ন যেভাবে এগোচ্ছে, এখানে দুই ধরনের চালিকাশক্তি আছে। সপ্তাহখানেক আগে একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ হয় আমার। সেটি ছিল স্থপতিদের অনুষ্ঠান। কোনো কারণে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ফলে কিছু বিষয় জানার সুযোগ হয়। তাদের কথা শুনে ভালোই লাগল। তারা বলছেন, আগামী ৫০ বছর পর বাংলাদেশে কোনো গ্রাম থাকবে না। এটা করতে গিয়ে কী ধরনের বাড়ি হবে, বাড়ির ডিজাইন কেমন হবে এসব বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছেন। এটা গেল গ্রাম নিয়ে কথা। আর ঢাকা শহরের মতো যেগুলো মেগাসিটি আছে, এগুলোয় এখন তো ২৫ তলা পর্যন্ত বিল্ডিং হচ্ছে, আগামীতে কীভাবে ১০০ তলা বিল্ডিং হবে সে বিষয়ে তারা ভাবছে। তাদের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পরিবেশগত প্রভাব কী হবে সে নিয়ে কোনো কথা শুনলাম না। অর্থাৎ পরিবেশ নিয়ে কোনো ভাবনাই এখন কারো নেই। আমরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছি। এক দল চাচ্ছে উন্নয়ন। অন্যদিকে পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন করছে আরেক দল। আমাদের প্রকৃতিও দরকার, উন্নয়নও দরকার। উন্নয়ন ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার নীতি এখনো আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন