জানুয়ারির আগে ভোলার ৫ গ্যাসকূপ খননের কাজ পাচ্ছে রুশ কোম্পানি
জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই এখনো শেষ হয়নি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দ্রুত শেষ করা হলেও ২০২৬ সালের আগে সঞ্চালন লাইন হচ্ছে না। কিন্তু জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর আশায় ভোলা গ্যাসক্ষেত্রে পাঁচটি কূপ খননের কাজ দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) আবিষ্কার করা এই গ্যাসক্ষেত্রে বিনা দরপত্রে গ্যাজপ্রমকে কূপ খননের কাজ দেওয়া হচ্ছে।
জানুয়ারির আগেই কাজটি দেওয়া হতে পারে। বাপেক্সের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্রমতে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় এই কাজ দেওয়া হচ্ছে। প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে গ্যাজপ্রম সপ্তাহ দুয়েক আগেই কারিগরি প্রস্তাব বাপেক্সের কাছে জমা দিয়েছে।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. শোয়েব জানান, গ্যাজপ্রমকে কূপ খননের কাজ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবুজসংকেত পাওয়া গেছে। কবে নাগাদ কার্যাদেশ দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কূপ খননের ব্যাপারে আমরা (বাপেক্স) গ্যাজপ্রমের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি অনেক আগে থেকেই।
নির্বাচন এখনো অনেক দেরি। খননকাজের কার্যাদেশ আমরা নির্বাচনের আগেই দিয়ে দেব।’ ভোলায় পাঁচটি কূপ খননের এই কাজ দেওয়া হচ্ছে ২০২৪ সালের মধ্যে ৪৬টি গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন ও পুনঃখনন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। তার মধ্যে বাপেক্স ২০টি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ১২টি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড ১৪টি কূপ খনন করবে।
জানা যায়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স ভোলায় এ পর্যন্ত তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্র হলো শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা। গ্যাজপ্রমকে দেওয়া হবে মূলত শাহবাজপুর-৫, শাহবাজপুর-৭, শাহবাজপুর নর্থ ইস্ট-১ এবং ভোলা নর্থ-৩ ও ভোলা নর্থ-৪ নম্বর কূপ।