ফাঁস হয়ে যাচ্ছে পুলিশের ওয়াকিটকি বার্তা!

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৫

‘আলফা সেভেন স্যার। আমাদের টোলারবাগে ছাত্রলীগের একটা মিছিল বের হয়েছে। অপর প্রান্ত থেকে পুলিশের কর্মকর্তা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর নৌকার পক্ষে হলে মিছিল করলে সমস্যা নেই। এ সময় আরেক প্রান্ত থেকে বলা হয়, সঠিক স্যার। ছাত্রলীগ নৌকার পক্ষেই। মিছিল হচ্ছে স্যার।’


সপ্তাহখানেক আগে জুলকারনাইন সায়ের নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে এ রকম একটি পোস্ট দিয়েছেন। সাধারণত পুলিশ ওয়াকিটকি ব্যবহার করে এ ধরনের বার্তা আদান-প্রদান করে থাকে। জুলকারনাইনের ওই স্ট্যাটাসে ১ হাজার ২০০ ব্যক্তি লাইক দিয়েছেন, ৪০ জন আজেবাজে কমেন্ট করেছেন এবং পোস্টটি ৯৬ জন শেয়ার করেছেন।


২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ফেসবুকে ভাইরাল হয় ওয়াকিটকিতে পুলিশের মধ্যে হওয়া আরেকটি কথোপকথন। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা সংঘর্ষের সর্বশেষ অবস্থা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করাসহ নানা বিষয়ে বার্তা আদান-প্রদান করছিলেন।


এই দুটি ঘটনার মতো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশের ওয়াকিটকি থেকে তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। আর ওই সব তথ্য সরকারবিরোধীদের কাছে চলে যাওয়ায় পুলিশও উদ্বিগ্ন। ওয়াকিটকি ছাড়াও পুলিশের অভিযান নিয়ে সরকারবিরোধীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কিছু প্রচার করছে, যা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে পুলিশ মনে করছে।


এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরসহ পুলিশের ইউনিটগুলোতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন।


সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেশ রূপান্তরকে জানান, তথ্য ফাঁস রোধ করতে পুলিশ সদর দপ্তর বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশের কোনো সদস্য বা কর্মকর্তার পাশাপাশি যেসব দুর্বৃত্ত জড়িত তাদের শনাক্ত করতে পুলিশের সব কটি ইউনিট কাজ করছে। ওয়াকিটকিতে কোনো ধরনের বেফাঁস কথাবার্তা না বলার নির্দেশনা ছাড়াও সতর্কভাবে কথা বলতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে পুলিশের সব কটি ইউনিটপ্রধান ও জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি) আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। ওয়াকিটকির যেকোনো বার্তা ফাঁস বা রেকর্ড করার বিষয়ে কঠোর নজরদারি করতে লিখিত নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া দায়িত্বরত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র ও যানবাহন যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেকোনো অভিযানে যাওয়ার আগে ওয়াকিটকিতে গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন থেকে বিরত থাকতে হবে। জেলা ও থানা এলাকায় আসামি ধরার সময় অপরিচিত কেউ যাতে ভিডিও করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও