‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উদযাপনের গুরুত্ব অপরিসীম

জাগো নিউজ ২৪ ড. মিল্টন বিশ্বাস প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:২১

২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবের দিন। দিনটিতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করা হয় এভাবে- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহত করার জন্য দরকার একটি সুপ্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ও দক্ষ সশস্ত্র বাহিনী। তিনি ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল এক সরকারি আদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন সাংগঠনিক কাঠামো ‘বাংলাদেশ ফোর্সেস’ ভেঙে স্বতন্ত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গড়ার নির্দেশ দেন এবং দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দক্ষ ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গঠনের কাজ শুরু করেন।


জাতির পিতার পরিকল্পনায় স্বাধীনতার পরপরই ঢাকায় ৪৬ পদাতিক ব্রিগেড, যশোরে ৫৫ পদাতিক ব্রিগেড এবং কুমিল্লায় ৪৪ পদাতিক ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তাছাড়া তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিটি আর্মস ও সার্ভিসের গোড়াপত্তন হয় এবং শতাধিক ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করে।


তিনি ১৯৭২ সালে ঢাকায় দেশের প্রথম অফিসার প্রশিক্ষণ একাডেমি চালুর ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে সেনাবাহিনীর আটজন এবং বিমান বাহিনীর একজন অফিসারকে ভারত পাঠানো হয় নতুন ক্যাডেট নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর প্রশিক্ষণের জন্য। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতেই গড়ে ওঠে ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড (আইএসএসবি)। ১৯৭৩ সালের ২৯ নভেম্বর কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি। দেশে নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু মূলত স্বাধীনতার আগেই ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনে এ ভূখণ্ডে নৌবাহিনী সদর দপ্তর স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে নৌবাহিনীর ভিত রচনা করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে জাতির পিতা প্রায় শূন্য থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের কাজ শুরু করেন। একটি দক্ষ, শক্তিশালী ও আধুনিক নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি তিনটি নৌবাহিনী ঘাঁটি- বানৌজা হাজী মহসিন, বানৌজা ঈশা খাঁ ও বানৌজা তিতুমীর স্থাপন করেন।


এছাড়া বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক প্রয়াসে সংগ্রহ করা হয় পাঁচটি আধুনিক রণতরী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে প্রদান করা হয় নেভাল এনসাইন। দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে মহান এ রাষ্ট্রনায়ক ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেন ‘বাংলাদেশ টেরিটোরিয়াল ওয়াটার'স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সামরিক কৌশলগত দিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিধি ও সম্ভাবনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাদার বিমান বাহিনী গঠনের। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে স্বাধীনতার পরপরই বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয় তৎকালীন অত্যাধুনিক মিগ-২১ সুপারসনিক যুদ্ধবিমান, এএন-২৪ বিমান ও এএন-২৬ পরিবহন বিমান, এমআই-৮ হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স রাডার। বঙ্গবন্ধু উন্নত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ১৯৭৪ সালে ‘প্রতিরক্ষা নীতি’ প্রণয়ন করেন।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও