মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসায় কেন অনীহা মানুষের

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪

পরিবারের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থাকা দায়িত্বশীল মানুষটিও হঠাৎ আত্মহত্যা করে বসেন। আপনজনেরা ভেবে পান না, কেন এই চলে যাওয়া। তবে কি তাঁর কষ্টের সময়ের সঙ্গী হতে পারেননি তাঁরা? কবে থেকে কষ্ট জমে জমে পাহাড় হয়ে গেল! মাস দুয়েক আগে খুব কাছ থেকে এমন একটি ঘটনা দেখতে হয়েছিল। মা–বাবা নিজেদের দোষারোপ করছিলেন—কেন সন্তানের মনের তল খুঁজে পেলেন না। 


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কাজি সামিতা আশকার মুখে সব সময় থাকত মা–বাবা আর ছোট ভাইয়ের কথা। তবু গত ১ সেপ্টেম্বর সামিতা স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ কেন বেছে নিয়েছিলেন, সে প্রশ্নের জবাব খুঁজে পান না পরিবারের সদস্য, স্বজন ও বন্ধুরা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় পড়তে গিয়েছিলেন ইরফান সাদিক সামিন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সেই দেশের একটি নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, সহপাঠীদের র‍্যাগিংয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তাঁকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়েছে।


এক তরুণের সঙ্গে কথা হয়েছিল, যিনি কিনা শুধু মানসিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁকে চাকরি হারাতে হয়েছিল। রাজধানীর নামকরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী তাঁর গুরুতর মানসিক অসুস্থতার জন্য শৈশবের দুঃসহ একটি স্মৃতিকে দায়ী করেন। স্কুলের একটি ঘটনায় শিক্ষকেরা সবার সামনে তাঁকে অপমান করেছিলেন। কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।


মনোচিকিৎসক ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা মনের অসুখ শনাক্ত করতে, মনের যত্ন নিতে নানা উপদেশ দিলেও এ দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেকেই এটাকে কোনো সমস্যা মনে করেন না। ফলে মনকে কখন অসুস্থতা গ্রাস করে, সেটা টের পান না তাঁরা। একলা থাকলে সেই অসুস্থতা কখনো ভয়ানক কোনো দিকে ঠেলে দেয়, কখনো বা অনেকের ভিড়েও মানুষটিকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। মানুষটি ভাবতে শুরু করে, তাঁর মনের কথা শোনার লোক নেই।


মনোচিকিৎসক ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীদের কাছে জানা গেল, শুধু মন খুলে কষ্টের কথা, সমস্যার কথা বলতে না পেরে কীভাবে মানসিকভাবে অনেকে ক্ষয়ে যেতে থাকেন। নানা শঙ্কা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে পিছু টেনে ধরে। সমাধানের পথ না পেয়ে সমস্যা আরও গুরুতর হয়। জীবনশক্তি কমতে থাকে, কাজের আগ্রহ হারিয়ে যেতে থাকে। আর বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। মানসিক অসুস্থতাকে কখনো মনে করা হয় দুরারোগ্য ও ব্যয়বহুল। কখনো মনে করা হয়, অযৌক্তিক সব চিন্তাভাবনা। সমস্যাগুলো কিছুই না, এগুলো এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।


মানসিক অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে স্কিৎসোফ্রেনিয়া (সিজোফ্রেনিয়া), বাইপোলার ডিজঅর্ডার (বিষণ্নতা ও হতাশা) এবং ওসিডি (অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও