হামাসের পক্ষ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে আনোয়ার ইব্রাহিম

প্রথম আলো সের্গেই স্ট্রোকান প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৪

ফিলিস্তিনিদের প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বলিষ্ঠ সমর্থন তাঁর দেশের জন্য নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে। এর কারণ, হামাস ও ফিলিস্তিনিদের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে বাইরে থেকে যারা অর্থায়ন করছে, তাদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার একটি আইন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।


আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রশাসনের ওপর চাপ ছিল মালয়েশিয়া যেন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দেয় অথবা হামাসের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের এই চাপেও হামাস বিষয়ে সিদ্ধান্ত বদলাননি ইব্রাহিম।


মালয়েশিয়ার পুলিশ এরই মধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দিক থেকে অর্থনৈতিক অন্তর্ঘাত, গুপ্তচরবৃত্তি এবং এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ওপর হুমকি আসতে পারে।


মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক কালে তেল আবিবের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে রয়েছে। কিন্তু মালয়েশিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।


মালয়েশিয়া মনে করে, হামাস গাজার বৈধভাবে নির্বাচিত সরকার। ২০০৬ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। হামাসের সদস্যরা মালয়েশিয়ার কাজ করতে আসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তাঁরা সেখানে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার লক্ষ্যবস্তু হন বলে অভিযোগ আছে।


কিন্তু আনোয়ার ইব্রাহিমের এই অকুতোভয় অবস্থানের পেছনে দেশজ রাজনীতির প্রেক্ষাপটই মূল ভূমিকা পালন করেছে। মালয়েশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী মালেদের (ধর্মীয়ভাবে মুসলিম) সমর্থন যাতে তাঁর ওপর বজায় থাকে, সেটা চান আনোয়ার। তাঁর সরকারের টিকে থাকা এবং সামনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসার ক্ষেত্রে মালেদের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও