কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১৯৫০-এর ঢাকা হাইকোর্ট

দেশ রূপান্তর ড. এম এ মোমেন প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১২

১৯৫০-এর ঢাকা হাইকোর্ট : সবাই সেলেব্রিটি


১৯২১ সালের ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের সদস্য মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার বেতন ধার্য হয় ৪৫০০ রুপি। সে সময় মাসিক ৪০০০ রুপি বেতনের সাতজন জজ হাইকোর্টে কর্মরত ছিলেন। তারা হচ্ছেন :


১. আর্নেস্ট চার্লস অরমন্ড (বার-অ্যাট ল’), নিয়োগের তারিখ ১৫ আগস্ট ১৯৪৭।


২. থোমাস হোবার্ট এলিস (আইসিএস), ১৫ আগস্ট ১৯৪৭।


৩. আমির উদ্দীন আহমদ, ১৫ আগস্ট ১৯৪৭।


৪. আমিন আহমদ (বার-এট ল’) ১৫ আগস্ট ১৯৪৭।


৫. এম এ ইস্পাহানি (বার-এট ল’) ৭ নভেম্বর ১৯৪৯।


৬. মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ৭ নভেম্বর ১৯৪৯।


৭. ফজলে আকবর (বার-অ্যাট ল’) ৭ নভেম্বর ১৯৪৯।


প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের জন্ম মাদ্রাজে ১৮৯৫ সালে। তিনি তিনটি জেলায় ডিস্ট্রিক্ট জজ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৪৩-এর ফেব্রুয়ারিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টে যোগ দেন। ভারত ভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসার জন্য অপশন দেন। তিনি সিন্ধু হাইকোর্টে বিচারকের দায়িত্ব পালনের পর ঢাকায় প্রধান বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন। এই দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২২ ডিসেম্বর ১৯৫৪ থেকে ১৪ জুন ১৯৫৫ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। তার সঙ্গে আলোচনা না করে পূর্ব পাকিস্তানের সরকার বদল করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পাকিস্তান ফেডারেল কোর্টে ফিরে যান। ৩ মে ১৯৬০ তিনি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং মাত্র ৯ দিনের মাথায় ১২ মে ১৯৬০ মৃত্যুবরণ করেন।


পাকিস্তান (অস্থায়ী সংবিধান) আদেশ ১৯৪৭ অনুযায়ী গঠিত হাইকোর্ট অব জুডিকেচার অব ইস্টবেঙ্গল-এর প্রথম প্রধান বিচারপতি আবু সালেহ মুহাম্মদ আকরাম ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।


১৯৫০ সালে কর্মরত বিচারকের ব্যাচটিকে অসাধারণ কীর্তিমান বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। মোট ৮ জন বিচারপতির ৫ জন পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দুজন পাকিস্তান ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।


থোমাস হোবার্ট এলিস (১৯৫৩-৫৪) : শাহাবুদ্দিন ছাড়া হাইকোর্টের অপর চার প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন থোমাস হোবার্ট এলিস (১৯৫৩-৫৪), আমির উদ্দীন আহমদ (১৯৫৪-১৯৫৬), আমিন আহমেদ (১৯৫৬-১৯৫৯), এম এ ইস্পাহানি (১৯৫৯-১৯৬২) আর ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দুজন হচ্ছেন শাহাবুদ্দিন এবং ফজলে আকবর।


শাহাবুদ্দিন, টি এইচ এলিস এবং আমির উদ্দীন আহমদ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরও ছিলেন।


স্যার থোমাস হোবার্ট এলিসের জন্ম ইংল্যান্ডের লিডস-এ ১৮৯৪ সালে। ম্যানচেস্টার গ্রামার স্কুল এবং অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের কুইনস কলেজে পড়াশোনা করে তিনি ১৯১৯ সালে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। কয়েকটি মহকুমায় এসডিওর দায়িত্ব পালন করার পর যশোর জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিযুক্ত হন। ১৯৩৮ সালে  শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রতিষ্ঠিত ঋণ সালিশী বোর্ডের তিনিই ছিলেন চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৪৪-৪৭ কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত জজ এবং ১৯৪৭-৫৩ সালে ঢাকা হাইকোর্টের জজ নিযুক্ত হন। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনে একুশের গোলাগুলির তদন্ত সম্পাদনের জন্য তাকে কিছুদিনের জন্য অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি করা হয় (সেকালের ওএসডি ও একালের ওএসডির তফাৎটা বুঝুন!) ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪’র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনের পর ২৫ অক্টোবর থেকে ২২ ডিসেম্বর ১৯৪৪ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরও ছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও