মজুরিতে খুব নিম্ন হলেও ইউনিটপ্রতি রফতানি মূল্য সর্বনিম্ন না
দেশের রফতানি খাতের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক। এ পণ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানিকারক বাংলাদেশ। শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মজুরি পান দেশের শ্রমিকরা। কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ইউনিটপ্রতি রফতানি মূল্যে সর্বনিম্ন নয়। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এ চিত্রই উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত পোশাকের রফতানি তথ্য সংকলন করে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সেই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি করা পোশাকের বর্গমিটারপ্রতি দাম কম-বেশি ওঠানামা করলেও বাড়ন্তই রয়েছে। দেশটির আমদানিকারকদের কাছ থেকে ২০১৭ সালে প্রতি বর্গমিটার পোশাকের দাম পাওয়া যেত ২ ডলার ৭৪ সেন্ট। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ২ ডলার ৭৯ সেন্ট। ২০১৯ সালে তা দাঁড়ায় ২ ডলার ৯০ সেন্টে। এর পরের দুই বছরে দাম কমলেও ২০২২ সালে তা ৩ ডলারের ঘরে পৌঁছে গেছে।
সম্প্রতি পোশাক রফতানিকারক দেশগুলোয় শ্রমিকের মাসিক মজুরি কত তার একটি চিত্র দেখিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মজুরি বোর্ডের তথ্য নিয়ে করা গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, পোশাক রফতানি করা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই শ্রমিককে সবচেয়ে কম মজুরি দেয়া হচ্ছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষিত মজুরির খসড়া সুপারিশ অনুযায়ী, পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।