তাহলে কেমন নির্বাচন হতে চলেছে?

যুগান্তর হাসান মামুন প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৯

সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফশিলও অচিরেই ঘোষিত হবে। জানুয়ারির শুরুর দিকে ভোটের দিন ধার্য করা হবে বলে খবর রয়েছে। সেদিন গভীর রাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কারা জয়ী হতে চলেছে। তবে প্রধান বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন দলই যে পুনরায় সরকার গঠন করবে, সেটা ধরেই নেবে মানুষ। এ ধরনের নির্বাচনে সাধারণত কোনো আকর্ষণ থাকে না। মানুষ বরাবরই চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। প্রধান বিরোধী দল অংশ না নিলেও কিছু আসনে হয়তো তেমন নির্বাচন হবে একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায়। যদিও সেটা জাতীয়ভাবে কোনো প্রভাব ফেলবে না।


ঘটনাধারায় ইতোমধ্যে পরিষ্কার, প্রধান সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে না। প্রধান সব দল অংশ নিলে কেমন হয় নির্বাচনের পরিবেশ, সেটা আমাদের জানা আছে। তবে দেশের একটি তরুণ জনগোষ্ঠী তেমন পরিবেশ এখনো দেখতে পায়নি। কেননা বিগত দুটি নির্বাচন স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। এবারকার নির্বাচনেও স্বাভাবিক পরিবেশ নেই, তা ইসি যা-ই বলুক না কেন। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার ‘বাধ্যবাধকতা’য় নিকট অতীতে তারা যা-ই বলুন না কেন, এখন বলছেন-নির্বাচন আয়োজনে কোনো সমস্যা নেই। নির্বাচন আয়োজনে সমস্যা নেই; তবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সমস্যা রয়েছে। নিয়মমাফিক নির্বাচন করাই ইসির কাজ কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। যারা এ প্রশ্ন তোলেন, তারা বলেন-সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই ইসির দায়িত্ব। তেমন নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে তারা কি সেটা বলে তফশিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকতে পারেন? এমন দাবি কোনো কোনো দলের পক্ষ থেকে ইসির উদ্দেশে জানানো হয়েছে। সংবিধানবেত্তারাই এর উপযুক্ত জবাব দিতে পারবেন।


ইসি অবশ্য নির্বাচন আয়োজনের দিকেই এগোচ্ছে। তাদের মধ্যে এ নিয়ে বড় মতপার্থক্য রয়েছে বলেও শোনা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা, সরকার যে কোনো মূল্যে নির্বাচনটা সেরে ফেলতে চায়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনাবলির পর প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও চলে গেছে হরতাল-অবরোধে। সরকারও দলীয় লোকজন ও প্রশাসন দিয়ে তাদের প্রতিহত করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনটাই যেন বাস্তবতা!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও