কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশবিরোধী চক্রের বিজয়ের দিন

www.ajkerpatrika.com চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৩

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বরের একটা আলাদা ভূমিকা আছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে ছলেবলে-কৌশলে পরাজিত করার যে অপপ্রয়াস তার প্রথম প্রকাশ ঘটে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। আর এর চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে ৭ নভেম্বর। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যাঁরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন সেনাবাহিনীর কিছু মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা, যাঁদের মাত্র দুজন (ফারুক ও রশীদ) ছিলেন চাকরিরত; বাকিরা সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রধানত মেজর র‍্যাঙ্কের কর্মকর্তা।


বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকেই খুনি অফিসাররা খোলামেলাভাবে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী পদক্ষেপ নিতে থাকে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা প্রকাশ্যে কলকাঠি নাড়তে থাকে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ফারুক, রশীদ, ডালিমরা বঙ্গভবনে বসে তাঁদের নাটের গুরু খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে সলাপরামর্শ করে দেশে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের অনুপ্রবেশ ঘটাতে মত্ত ছিলেন। তাঁরা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। ২৮ আগস্ট তাঁরা জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধানের পদে বসান। কিন্তু জিয়া ছিলেন নামেই সেনাপ্রধান। ঘাতকেরাই সব সিদ্ধান্ত নিতেন।


এমন পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু কর্মকর্তা চেয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সেনাবাহিনীর তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে উড়ে এসে জুড়ে বসা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে ৩ নভেম্বর একটা অভিযানও পরিচালনা করেন। এই দলে ছিলেন মেজর হাফিজউদ্দিন, কর্নেল শাফায়েত জামিলসহ বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসার।খালেদ মোশাররফ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াকে বন্দী করে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেন।


কিন্তু এই অভ্যুত্থানকারীরা প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের কাছে টিকতে পারেননি। ১৫ আগস্টের হোতারা খালেদ ও তাঁর সহযোগীদের ভারতপন্থীদের অভ্যুত্থান হিসেবে প্রচারণা চালান। এই প্রচারণায় কাজ হয়। সেনাবাহিনীর মধ্যে এই প্রচারণা দ্রুত বিশ্বাসযোগ্যতা পায়। এদিকে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছিল। ১৫ আগস্টের খুনিচক্র আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার অভিপ্রায়ে জেলের অভ্যন্তরে দলটির ঊর্ধ্বতন চার নেতাকে হত্যা করে গোপনে দেশত্যাগ করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও