সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪০

ষড়যন্ত্র, ক্ষমতা দখল-পাল্টাদখলের ধারাবাহিকতায় রাতের আঁধারে কারাগারে বন্দী অবস্থায় ৪৮ বছর আগে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৮। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৩ জন। সাজাপ্রাপ্ত এই ১১ আসামির মধ্যে ১০ জনই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।


যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি ধরা পড়েন এবং ওই মাসেই তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।


রাতের আঁধারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা জেলহত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়। জেল হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবার হত্যা করেন সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য।


জাতীয় চার নেতার একজন এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ছেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার নেতার পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো আমারও দাবি, আসামিদের দেশের বাইরে থেকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হোক। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বিচারে রায় হয়েছে। এই দুই হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি কোথায় আছেন, খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। সাজাপ্রাপ্ত কর্নেল (অব.) এম বি নূর চৌধুরী কানাডা এবং লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, তাঁদের ফিরিয়ে না দেওয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন। হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ও নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও