মাছ-মাংস-ডিম নয়, শুধু সবজির ফরিয়াদ
কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা শুনলে যে কেউ অবাক হবেন। সেই বিস্ময়কর কৃষি উৎপাদনের দেশে বেশিরভাগ সবজির কেজি কেন ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে এই প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলছে না। অথচ আগে আমাদের কৃষি উৎপাদন এত বেশি ছিল না। তবু ভরা মৌসুমে বেগুন এবং মূলার মতো সবজি ক্রেতার অভাবে গবাদি পশুকে খাওয়ানো হতো। মিষ্টি কুমড়া, জাতি লাউ, চাল কুমড়া—খুব একটা বেচাকেনার সবজি ছিল না। এখন এসবের কেজিও পঞ্চাশ টাকার ওপরে।
এসব আসলে অতীত নিয়ে সামান্য ঘাটাঘাটি মাত্র। যদিও এমন সোনালি অতীতের গল্প আরও অনেক আছে। সেদিকে না গিয়ে কিছু রাজকীয় হিসাবপত্রের কথা বলি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য মতে ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে আছে চাল, মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও চা। যদিও ফলও আছে, তার কথা বাদ দিলাম। এছাড়া কুমড়া, ফুলকপি সমজাতীয় কিছু কৃষিপণ্য এবং শিম উৎপাদনেও বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। চাল এবং রসুন উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয়। মসুর ডাল উৎপাদনে ষষ্ঠ। পেঁয়াজ, আলু, আদা, বেগুন, শিমের বিচি উৎপাদনে সপ্তম।
আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ সাত নম্বরে। যে আলু অন্তত সাত টাকা, তের টাকা কেজিতে মানুষ এই সরকারের আমলেই কিনেছে তার দাম বেড়ে এখন ষাট টাকা। সরকার প্রাণান্ত চেষ্টা করেও দাম কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের বাগে আনতে পারেনি। অথচ আলুর দাম এত সস্তা ছিল যখন তার চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে আলুর উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণ। দুই দশকে বিশ্বে সেই বিশতম দেশ থেকে আলু উৎপাদনে সাত নম্বরে বাংলাদেশ। আর যে মরিচের কেজি পাঁচশ টাকার ওপরে চলে গিয়েছিল সেই মরিচ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বলেও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জানিয়েছে। ফুলকপি ও ব্রকলি এবং মটরশুঁটি উৎপাদনে নবম। মসুর ডাল উৎপাদনে ষষ্ঠ।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মূল্যস্ফীতি
- সবজির দাম
- কৃষি উৎপাদন