You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মায়ের হৃৎপিণ্ড এবং শর্তহীন সংলাপ

মা ছেলেকে প্রশ্ন করলেন– বাবা, তুই কি আমাকে কিছু বলতে চাস? ছেলে বলল, হ্যাঁ মা; আমি তোমাকে কিছু বলার জন্য এসেছি। মা ছেলেকে কাছে টেনে আদর করে বললেন, কী বলবি বল। ছেলে হঠাৎ মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, মা, তোমার হৃৎপিণ্ড দরকার। ছেলের কথা শুনে মা ভয়ে চমকে উঠলেন। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে মৃদু হেসে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার হৃৎপিণ্ড লাগবে? কেন, কী দরকার?

ছেলে স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বলল, বউমা তোমার হৃৎপিণ্ড চেয়েছে। মা এবার একটু অবাক হলেন। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, বউমা আমার হৃৎপিণ্ড চেয়েছে? কেন, তুই কি জানিস না– হৃৎপিণ্ড না থাকলে মানুষ বাঁচে না? আসল ঘটনা খুলে বল। এবার ছেলে বলল, তোমার বউমার ধারণা, আমি তার চেয়ে তোমাকেই বেশি ভালোবাসি। এই নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই আছে। সংসার ঠিক রাখার জন্য বউকে যতই বলি তোমার ধারণা ভুল; মাকে নয়, আমি তোমাকেই বেশি ভালোবাসি; বউ ততই অবিশ্বাসের পাল্লা তুলে ধরে। আমার কথা বিশ্বাস করতে চায় না। আমি যে তোমার চেয়ে তাকেই বেশি ভালোবাসি– তার প্রমাণ চায়। তাই তোমার হৃৎপিণ্ড দরকার। মা হাসিমুখে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার হৃৎপিণ্ড পেলে তুই খুশি হবি? ছেলে বলল, হ্যাঁ, অনেক খুশি হবো। মা ছেলেকে আর কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। হাসিমুখে নিজের হৃৎপিণ্ড ছেলের হাতে তুলে দিলেন। মায়ের হৃৎপিণ্ড হাতে পেয়ে ছেলে একমুহূর্তও অপেক্ষা করল না। বউয়ের কাছে যাওয়ার জন্য দৌড় দিতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে এলো সেই নির্ভরতার একটিই শব্দ– মা...। মাটিতে ছিটকে পড়া মায়ের হৃৎপিণ্ড উৎকণ্ঠার সঙ্গে আদর মিশিয়ে জানতে চাইল, ব্যথা পেয়েছিস বাবা?

প্রিয় পাঠক, এটি একটি রূপক গল্প। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে কেন যেন গল্পটি মনে পড়ে গেল। আমরা কথায় কথায় দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করি। কিন্তু আমরা কি সত্যিকার অর্থেই দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসি? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে আজকাল আর কোনো কিছুই গোপন রাখার সুযোগ নেই। ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। তাঁকে নির্দয়, নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করা পর্যন্ত তাঁকে পিটিয়েছে এক দল মানুষ। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল, কারও কথায়, কারও নির্দেশে মায়ের হৃৎপিণ্ডই চাইছে তারা। কী নির্দয়, কী নিষ্ঠুর, কী অসহায় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রিয় দেশ, প্রিয় মাতৃভূমি…!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন