কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপির আন্দোলন বেশি দূর যাবে না

সমকাল অধ্যাপক হারুন অর রশিদ প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১১

শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার কথা বলে অনুমতি নিয়ে বিএনপি শেষ পর্যন্ত কথা রাখতে পারল না। যদিও বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশের আক্রমণের মুখে তাদের সমাবেশ শুরু হয়েও মাঝপথে বন্ধ করতে হয়েছে, বাস্তবতা কিন্তু তা নয়। পুলিশ আক্রমণাত্মক হয়েছে সত্য, তবে কাকরাইলে বিএনপি কর্মীদের ককটেল ছুড়ে মারার পরই পুলিশ অ্যাকশনে যেতে বাধ্য হয়েছে। জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব সরকার ও প্রশাসনের। ফলে মারমুখী বিএনপি কর্মীদের ঠেকাতে পুলিশের অ্যাকশনে না গিয়ে কোনো বিকল্প ছিল না। আমার ধারণা, একটা পরিস্থিতি তৈরির জন্যই বিএনপির পক্ষ থেকে কাকরাইলের ঘটনার সূত্রপাত ঘটানো হয়। এর জেরেই বিএনপিকে তড়িঘড়ি সমাবেশ শেষ করে চলে যেতে হয়েছে। বিএনপি কর্মীদের হাতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা কী প্রমাণ করে? শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বিএনপির লক্ষ্য ছিল না। ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ বিএনপি সারাদেশে হরতাল ডেকেছে। আমরা অতীতে বিএনপির ডাকা হরতালের চেহারা দেখেছি। হরতাল ডেকে নেতারা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন বা ঘরে বসে থাকেন। ফলে কর্মীরাও রাস্তায় থাকে না। এভাবে সরকার পতনের আন্দোলন হয় না। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জনগণ কিন্তু বিএনপির সঙ্গে নেই। দেশের অর্থনীতি এক যুগ আগে যেমন ছিল আজকে তার চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। মানুষের কাজের বহু সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে মানুষ এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের চেয়ে রুটি-রুজির কাজে বেশি ব্যস্ত; কোনো দলের বিমূর্ত দাবিতে জীবন দেওয়ার আগ্রহ নেই তাদের।


বিএনপি তো বরাবরই গণঅভ্যুত্থানে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের কথা বলছে। কিন্তু শুধু দলীয় কর্মী দিয়ে কি গণঅভ্যুত্থান করা যায়? জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই বলে তাদের পক্ষে আন্দোলন বেশি দূর টেনে যাওয়া সম্ভব হবে না।


বিএনপি হয়তো আজকের হরতালের পর আরও সহিংস কর্মসূচি দিতে পারে। তখন সরকারও বসে থাকবে না। সহিংসতা দমনে রাষ্ট্রীয় ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বল প্রয়োগের পথে যেতে হবে। পরিণামে বিএনপির বহু নেতা গ্রেপ্তার হতে পারেন। তখন, অতীতের অভিজ্ঞতায় বলা যায়, আন্দোলন এমনিতেই স্তিমিত হয়ে যাবে।


আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, এ ধরনের আন্দোলনে নানা শক্তি ক্রিয়াশীল থাকে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনকারীদের পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না। আর ওই পরিস্থিতিও সরকারকে বল প্রয়োগের সুযোগ করে দেয়। বিএনপির মহাসমাবেশের কাছাকাছি জামায়াতও যে জড়ো হলো বিনা অনুমতিতেই সমাবেশ করতে, সে ব্যাপারে বিএনপি কি সতর্ক ছিল? জামায়াত তো বরাবরই চায় সহিংসতা সৃষ্টি করতে। এরা মনে করে, সহিংস পরিস্থিতিতেই এদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এদের পাশে রেখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কী করে সম্ভব? জামায়াত যে একই দিন একই সময়ে রাস্তায় নামল তা নিয়েও বিএনপির কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও