কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির তৎপরতা জোরদার
ফিলিস্তিনের গাজায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি শুরু হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এ অবস্থায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। যদিও যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে করে আসছে ইসরায়েল। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ৩২৬ জনে দাঁড়িয়েছে, এর মধ্যে তিন হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। একই সঙ্গে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে নিহত হয়েছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি।
কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে আল–জাজিরা জানিয়েছে। এই অগ্রগতিকে তিন সপ্তাহ ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ক্ষেত্রে নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় নিয়ে আলোচনার অগ্রগতির বিষয়ে দোহা ইনস্টিটিউটের ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রেজল্যুশন অনুষদের ডিন ইব্রাহিম ফ্রাইহাত গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘এটি বড় সাফল্যের খবর। তবে এটা নির্ভর করছে সমঝোতার শর্তের ওপর। এটা কি মানবিক যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে, নাকি সাময়িক যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে কিংবা এই যুদ্ধের অবসান হতে যাচ্ছে?’
ইব্রাহিম বলেন, ‘আমরা জানি, ইসরায়েল যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে, এমনকি মানবিক যুদ্ধবিরতিও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত বৃহস্পতিবার এক সভায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এতটুকু বলতেও তারা কিছুটা লজ্জিত। সে অর্থে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ইসরায়েলের ওপর তেমন বড় ধরনের চাপ নেই।’