যে সব অর্থে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

দেশ রূপান্তর এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৮

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের, দেশহিতৈষী মানুষেরা সব সময়ই বলে থাকেন ‘শেখ হাসিনার বিকল্প নেই’। যারা এমনটি বলেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। বলা যায়, তারা দলনিরপেক্ষ। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে তারা আপসহীন। তারা কেন শেখ হাসিনাকে বিকল্পহীন ভেবে থাকেন, তার জবাব বহুবিধ। প্রথমত, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের দর্শন জিইয়ে রাখার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই বলে যে দাবিটি রয়েছে তা বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তাছাড়া দেশে উন্নয়নের যে জোয়ার ঘটে গেছে, সে ধারা চলমান রাখাও শেখ হাসিনা ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ যে উঁচু অবস্থানে আসন গেড়েছে, তাও বিনষ্ট হবে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে।


শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রবেশ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের ফলে জিয়াউর রহমানের পরিকল্পিত পাকিস্তানিকরণ প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়, যার কারণে জিয়া আর সে পথে এগোতে পারেননি। পাকিস্তানিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জিয়া ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নির্বাসনে পাঠান, শাহ আজিজ-সহ মুখ্য রাজাকারদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়া এবং পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের স্মৃতিবহনকারী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করেন, সংবিধান কেটে ছিঁড়ে ধর্মনিরপেক্ষতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনা মুছে ফেলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমসহ পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন। শহুদুল হক, ওয়াহিদুল হকসহ বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন যারা পরে পুলিশের এবং গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ পদে পৌঁছেছিলেন। মেজর এনাম খান নামক আর এক রাজাকারকে ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক পদে নিয়োগ দেন, শর্ষিনার পীরের মতো এক জঘন্য রাজাকারকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেন, সাকা চৌধুরীসহ বহু রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীকে আর্থিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন, দেশে ধর্মান্ধদের প্রতিষ্ঠিত করে সাম্প্রদায়িক হানাহানির উদ্ভব ঘটান, দালাল আইন বিলোপ করে বিচারাধীন কয়েক সহস্র রাজাকারকে মুক্তি দেন ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যে আইন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, জিয়া তা হিমাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তার সময়ে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা রুদ্ধ করা হয়েছিল।


শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর জিয়াকৃত সব পাকিস্তানপন্থি পদক্ষেপ একে একে দূর করেন। পাকিস্তানি প্রভুদের নির্দেশে জিয়া বাংলাদেশের ভূমিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়, সামরিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে দেশের নিরাপত্তা বিঘিœত করেছিলেন। দেশ ভরে গিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনী আইএসআই কর্তাব্যক্তিদের দ্বারা। শেখ হাসিনা সব ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আস্তানা চুরমার করেন। তিনি পৃথিবীর বহু জাদরেল নেতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা কার্যকর করেন, সংবিধানকে ’৭২-এর অবস্থানের কাছাকাছি নিয়ে যান, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নস্যাৎ করতে বহুদূর এগিয়ে যান, বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার ক্ষমতা গ্রহণের পরেই বাংলাদেশের মাটিতে বাংলার সংস্কৃতি পুনর্জন্ম লাভ করে। বৈশাখী অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন পায় নতুন জীবন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও