কেন পড়বেন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং
রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
আর রোবট নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে, সেটাই হচ্ছে রোবোটিকস। আর মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্সের সমন্বিত একটি শাখা, যা মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে ইলেকট্রনিকসের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করে।
পড়ার যোগ্যতা
এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএ ১০-এর মধ্যে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৮ পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই বিভাগে পড়ার সুযোগ পায়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে ১২.৫ (লিখিত ও এমসিকিউ মিলে) নম্বর করে পেতে হয়।
কোথায় পড়া যায়
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েটের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারনেট অব থিংকস অ্যান্ড রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ-সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
বাংলাদেশে অনেকগুলো অটোমেটেড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যেগুলো চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের দেশের নিজস্ব কোনো এক্সপার্ট নেই। ফলে সেই ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিদেশ থেকে মিলিয়ন ডলার খরচ করে এক্সপার্ট আনতে হয়, যা দেশের ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোনো এক্সপার্ট থাকলে অনেক খরচ কমে যেত এবং দেশের মুদ্রা দেশেই থাকত।