‘মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার’
জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা। ছোটবেলায় কবিতা পড়েছিলাম, ‘মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার, সবাই বলে মিথ্যে-বাজে বকিসনে আর খবরদার!’ উঠতি যুবক বয়সেও কিছু উদ্ভট ভাবনা-চিন্তা করতাম, কবি সুকুমার রায় যাকে ‘বিষম চিন্তা’ বলেছেন। আমার এক বন্ধু এক পিরের মুরিদ। আমারও ইচ্ছা পিরের মুরিদ হয়ে ভবিষ্যতে কামেল পির হওয়া। তিনি সন্ধ্যা ও রাতে নামাজের পর জিকির (স্মরণ করা) করেন।
গলার ভেতর থেকে একটা অস্পষ্ট শব্দ বের হয়ে আসে। অনবরত মাথা উপর-নিচে ঝাঁকাতে থাকেন। আমি ভয় পেয়ে যাই। কী জানি মাথার ঘিলু ওলটপালট হয়ে যায় কিনা! একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, জিকির করার আগে নিয়ত করতে হয়। ‘আমি আমার পির কেবলার কলবের (মন, হৃদয়) দিকে মোতাওয়াজ্জেহান আছি, আমার পির তার পির হজরত...এর কলবের দিকে মোতাওয়াজ্জেহান আছে, তার পির বড় পির আব্দুল... কলবের দিকে মোতাওয়াজ্জেহান আছে। বড় পির আব্দুল...হজরত মুহাম্মদের (সা.) কলবের রুহানির (আত্মিক) দিকে মোতাওয়াজ্জেহান আছে।
এখন হজরত মুহাম্মদের (সা.) কলবের রওশনি (দীপ্তি, আলো) আমার কলবে আসুক।’ নিয়তটা আমার খুব ভালো লাগল। আমি ভাবলাম, এত কলব পেরিয়ে রওশনি আমার কলবে না এনে আমি নিজেই যদি আল্লাহর দেওয়া নিয়মনীতি, বিধিনিষেধ মেনে চলি, সরল-সঠিক পথ অনুসরণ করি, হজরত মুহাম্মদকে (সা.) মান্য করি, তাহলে এত পিরের মাধ্যমে কামেল পির হওয়ার প্রয়োজন কী! সরাসরি খাজা-বাবা বা খাজা-দাদা বা খাজা-দাদার-বাবা হওয়া যায়। এর চেয়ে ভালো আর নেই। এরপর থেকে পির ধরার শখ আমার মিটে গেছে।
গত ৪.১০.২৩ বিবিসি নিউজ বাংলায় পড়লাম ‘কেউ নিষেধাজ্ঞা দেবে না, তলে তলে আপস হয়ে গেছে-সেতুমন্ত্রী; কোথায় নিষেধাজ্ঞা? কোথায় ভিসানীতি? তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শত্রুতা কারও সঙ্গে নেই।... ভারসাম্য সবার সঙ্গে করে ফেলেছেন, আর কোনো চিন্তা নেই।’ এ ছাড়াও আরও পড়লাম, ‘তিনি বলেন, ‘দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লি, আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। শেখ হাসিনা আর পুতুল, জো বাইডেনের সেলফিতে দিল্লিতে বাজিমাত।