কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংঘাত নয় সংলাপেই সমাধান

দেশ রূপান্তর প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩৭

বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত দ্বিদলীয়। একদিকে আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে বিএনপি। বাকি দলগুলো নিজ নিজ সুবিধামতো আওয়ামী লীগ বা বিএনপির ছায়াতলে থাকে। দুদলের মধ্যে ব্যবধানও আকাশ-পাতাল। আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের আকাক্সক্ষা থেকেই বিএনপির জন্ম। দুদলের আদর্শিক ব্যবধানও সুস্পষ্ট। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রশ্রয় দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার দায় বিএনপির। আদর্শিক ব্যবধান আকাশ-পাতাল হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোটের ব্যবধান খ্বু বেশি নয়। এই দ্বিদলীয় রাজনীতি বাংলাদেশে একধরনের ভারসাম্য এনেছিল।


কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে সে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আর টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। আর যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় ফিরতে চায় বিএনপি। দুদলের এই মরিয়া চাওয়া রাজনীতিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। দুদলই পয়েন্ট অব নো রিটার্নে অবস্থান করছে। বিএনপি এতদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছিল। কিন্তু এখন আরও এক ধাপ এগিয়ে সরকার পতনের একদফা নিয়ে মাঠে নেমেছে। বিএনপির পাশাপাশি মাঠে আছে আওয়ামী লীগও। তাদেরও এক দফা সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন। দুদলের একদফার ফারাকটা এত বেশি, রেললাইন বহে সমান্তরাল, কখনোই যেন মিলবে না।


আমরা পছন্দ করি আর না করি, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরের চেয়ে বাইরের লোকের মাথাব্যথা বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারি করছে। র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির নাটকীয় উন্নতি ঘটেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে এবং তার কিছুটা কার্যকরও করেছে। ভিসানীতির পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশেরও নাটকীয় উন্নতি হয়েছে। বিএনপি এখন নির্বিঘেœ তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারছে। বিএনপির কর্মসূচির দিনে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগও মাঠে থাকছে। মার্কিন ভিসানীতি সরকারি ও বিরোধী দলের জন্যই প্রযোজ্য। হয়তো সে কারণেই দুদলই এখন অনেক সংযত। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে নৃশংসতা চালিয়েছে, চাইলেও তার পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই তাদের সামনে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও