ডলারের সর্বোচ্চ মজুদের পরও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো স্বস্তিতে নেই

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৩

দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার স্থিতি এখন রেকর্ড সর্বোচ্চে। চলতি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের ডলার স্থিতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ৬১৭ কোটির বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা ছিল ৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলার স্থিতি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবে ডলার ধারণ বাড়লেও তা দেশের আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। উল্টো সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরো প্রকট হচ্ছে ডলার সংকট। 


কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভাষ্য হলো নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলার ধারণ বাড়লেও ব্যাংকগুলোর বিদ্যমান দায়ের তুলনায় তা অনেক কম। এর মধ্যেই রেমিট্যান্স প্রবাহও কমছে আশঙ্কাজনক হারে। রফতানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশও দেশে আসছে না। বিনিময় হারে চলমান অস্থিরতার কারণে আন্তঃব্যাংক ডলারের বাজারও পুরোপুরি বন্ধ। বিদেশী বিনিয়োগ ও ঋণের প্রবাহ এখন নিম্নমুখী। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ক্ষয়ও ক্রমাগত বাড়ছে। এসবের সম্মিলিত প্রভাবে ডলারের সংকট থেকে বেরোতে পারছে না বাংলাদেশ। 


মূলত আমদানির এলসি দায় ও বিদেশী ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলো বিদেশী হিসাব বা নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলার সংরক্ষণ করে থাকে। এসব অ্যাকাউন্টে ডলারের স্থিতি এখন রেকর্ড সর্বোচ্চে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের আগে ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের স্থিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল ২০২১ সালের জুলাইয়ে। সে সময় এর পরিমাণ উঠে দাঁড়িয়েছিল ৬০০ কোটি ৭৩ লাখ ডলারে, যা চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৬১৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারে। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এর পরিমাণ ছিল ৪৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এটি ছিল ৫৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবের ডলারের স্থিতি ছিল ৫১৩ কোটি ৫৫ লাখ। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও