বিরোধ মেটাতে গিয়ে খালাশাশুড়িসহ তিনজনকে হত্যা করেন ভাগনি জামাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ ও তাঁর দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গৃহবধূর ভাগনি জামাই জহিরুল ইসলাম। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে থাকা বিরোধ মেটানোর জন্য আলোচনা করতে তিনি প্রবাসীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। আলোচনার সময় কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে খালাশাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখে ফেলায় তাঁর দুই সন্তানকে একে একে হত্যা করেন জহিরুল।
আজ বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য জহিরুলের জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) সোনাহর আলী শরীফ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চরছয়ানী দক্ষিণপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁর স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৬) এবং দুই সন্তান মাহিন ইসলাম (১৬) ও মহিন ইসলাম ইসলামের (৭) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শাহ আলমের সাত মাস বয়সী শিশুকন্যা ওজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।