কী আফসোস! হাবিব ভাই!
ফরাসি কবি বোদলেয়ার লিখেছিলেন, আধুনিক সময়ে প্রতিদিনই আমরা কোনো না কোনো শোকযাত্রায় শামিল। কথাটা এখন যেন আক্ষরিকভাবেই সত্য। কিশোর বয়সে যিনি পদ্মা পাড়ি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে শামিল হয়েছিলেন সাম্যবাদী আন্দোলনে, এরশাদের দশকে ছিলেন রাজপথে, সেই তিনি জীবনের সত্তর বছরে এসে হৃদরোগের ফাঁড়া পেরুতে পারলেন না। কী আফসোস কী আফসোস হাবিবুর রহমান হাবিব ভাই! রাষ্ট্রচিন্তা জার্নাল নামে ত্রৈমাসিক প্রবন্ধ পত্রিকা সম্পাদনায় ব্যস্ত ছিলেন গত কয়েক বছর।
মনে আছে দু’বার দেখা করার কথা। দু’বারই পরামর্শ চেয়েছেন, লেখা চেয়েছেন। দু’বারই আমার আগে এসে উপস্থিত হয়েছেন সাক্ষাতের জায়গায়। একবার দেখি, সমকাল অফিসের সোফার একপাশে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন হাবিব ভাই। আমি সম্ভবত বাইরে ছিলাম। দুপুরের রোদে পুড়ে তিনি ঠিকঠাক এসেছেন এই বৃদ্ধ দেহে। মনের জোরে তিনি সব পারতেন। মৃত্যুর আগের রাতেও হাসপাতালের বেডে শুয়ে রাত জেগে রাষ্ট্রচিন্তা পত্রিকার প্রুফ দেখছিলেন। যাতে ঠিক সময়ে পত্রিকাটা পাঠকের হাতে দেওয়া যায়। ভাবা যায়, কতটা নিষ্ঠা!