রাজনীতির অ্যাডজাস্টমেন্ট কত দূর
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক ময়দানে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। শাসক দলের ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াই এবং বিরোধীদের সরকার উৎখাতে উন্মত্ত প্রণোদনা। মাঝপক্ষ জনগণ ক্লিষ্ট তাদের প্রাত্যহিক যন্ত্রণা ও হিসাবের যাতনায়। তবুও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সময় বহমান। কারও জন্য থেমে থাকার জন্য না। আমাদের অর্থনৈতিক উৎকর্ষতা যতটুকুই থাক রাজনৈতিক উৎকর্ষতার ম্যুরাল সে অর্থে নেই। যদিও স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়টি আপেক্ষিক। এক এক জনের কাছে এক এক রকম। তবু ‘স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায়? দাসত্ব শৃঙ্খল বলো কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়’। কবি বা কবিতায় নয়, বাস্তব জীবনে মানুষ তাই মনে করে। সেটা সরকার বা বিরোধী দল কিংবা জনগণ সবার জন্যই একই।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে জনগণের মধ্যে এক ধরনের মিথস্ক্রিয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন। আগামী নির্বাচন কি হবে? শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে হবে নাকি নির্দলীয় সরকারের অধীনে হবে? বিএনপি কি নির্বাচনে আসবে? নির্বাচন কি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে? সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ না হলে কী হবে? নির্দলীয় সরকার হলে কে এর প্রধান? তারা কতদিন ক্ষমতায় থাকবে? আমেরিকা কি সরকারের বিরুদ্ধে? বিদেশি চাপ এত বেশি কেন, সরকার কি জোর করে ভোট করবে এ ধরনের অনেক জিজ্ঞাসা আছে মানুষের মনে। এসব জিজ্ঞাসায় থাকা অযৌক্তিক নয়। গত বছর থেকে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বিদেশি তৎপরতা দেখে জনগণের মধ্যে এসব জিজ্ঞাসার জন্ম হয়েছে। বোধকরি এসব জিজ্ঞাসার মধ্যে আছেন রাজনীতিকরাও। যেটা হয়তো তারা প্রকাশ করতে পারছেন না। আগামী নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে এসব জিজ্ঞাসা আরও জোরালো হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব জিজ্ঞাসার কারণ কী। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের কেন এসব প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।