কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভালো নির্বাচন করার সম্ভাব্য উপায়

বহুলপ্রতীক্ষিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে। দু-তিন সপ্তাহ পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি শিডিউল ঘোষণা করবে। এজন্য সরকারি দল এবং সরকারে সম্পৃক্ত দলগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে দাবি করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলন করা দলগুলো এ ব্যাপারে নীরব। তারা কিছুতেই দলীয় সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখে সংসদ না ভেঙে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা ভাবছে না। এ ব্যাপারে দলগুলো অনড় ভূমিকা পালন করে নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অহিংস আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচন কমিশন শিডিউল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এ দলগুলো এদের আন্দোলনকে অহিংস রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। অন্যদিকে সরকার থেকে বলা হচ্ছে, কোনোরকম সহিংসতা হলে তারা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কাজেই নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে এমন একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে নির্বাচন করতে মরিয়া হলে শিডিউল ঘোষণা করার পর রাজপথে নিশ্চিত রক্তপাতের আশঙ্কা দেখা দেবে।

আশ্চর্যের বিষয়, দেশের সুশীল সমাজ এমন অবস্থায় নীরব ভূমিকা পালন করছে। অতীতের নির্বাচনগুলোর আগে সুশীল সমাজ ও দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বদের অনেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকে পথ বাতলে দিয়েছেন। আমার ভুল না হলে দশম সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ড. আকবর আলি খান একাই সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ৪টি ফর্মুলা প্রদান করেছিলেন। সেগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। নিষ্ক্রিয় এবং সুবিধাবাদী হলেও এখনো দেশে সুশীল সমাজ রয়েছে। রয়েছেন অনেক দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। তাদের তো দেশের মঙ্গল চাওয়ার কথা। এমন সংকটকালে তারা নীবর ভূমিকা পালন করছেন কেন? এর নানা কারণ থাকতে পারে। একটি কারণ এমন হতে পারে, তারা ভাবছেন, সরকার যদি কোনোভাবে আবারও একটি ফন্দি-ফিকিরের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে পারে, তাহলে তারা এখন সরকারি ইচ্ছার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে পরে তাদের ওপর সরকারের রক্তচক্ষু প্রতিহিংসার দৃষ্টি দেবে। তখন আর সরকারের কাছ থেকে তারা কোনো সুবিধা নিতে পারবেন না। দেশ ও জনস্বার্থ ভুলে এমন স্বার্থপর চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে তাদের বলা উচিত, দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচন হলে ভালো নির্বাচন হতে পারে কি না। এ ব্যাপারে তাদের স্বাধীন মতামত দেওয়া উচিত। আরও বলা উচিত, কেমন ব্যবস্থায় বা কী উপায়ে নির্বাচনকে স্বচ্ছ করা যায়। তারা চাইলে নতুন কোনো ব্যবস্থার উদ্ভাবন করে তা জাতির সামনে তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু এমন দেশপ্রেমিক সুশীল সমাজের সদস্য খুঁজতে হলে এখন শক্তিশালী দুরবিন প্রয়োজন। বেশির ভাগ সুশীল সমাজ সদস্যই সুবিধাভোগী ও সুবিধাবাদী চরিত্রধারী। তবে বিরল ব্যতিক্রম যে নেই তা বলা যায় না। এদের সামনে এখন রক্তপাত এড়ানোর স্বার্থে ভূমিকা পালনের দায়িত্ব পড়েছে। এ দায়িত্ব পালন না করলে এসব সুশীল সদস্যদের ইতিহাসের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন