শিশুর জন্য ডে কেয়ার সেন্টার কেন জরুরি?
নারীরা অফিসে কাজ করা শুরু করার পর থেকেই তার শিশুটি কার হেফাজতে থাকবে সেটি সবার আগে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এখন আর আগের মতো একান্নবর্তী পরিবার খুব একটা দেখা যায় না। শহরের ছোট পরিবারগুলোতে দাদা-দাদী, নানা-নানীর কাছে শিশুকে নিশ্চিন্তে রেখে আসার সুযোগ আর তেমন নাই। আর নির্ভরযোগ্য গৃহকর্মী পাওয়া এখন সোনার হরিণের মতোই দুষ্প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরিজীবী মায়েদের তাই মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজের ফেরার সময় সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তার কোলের শিশুটির যত্ন ও নিরাপত্তা। তাই বিশেষ করে তাদের কথা চিন্তা করেই জগতে আধুনিক ডে কেয়ার সেন্টার কিংবা দিবাযত্ন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এ কেন্দ্র দিন দিন বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে।
আমরা কেন আমাদের এত আদরের সন্তানকে নিজের বাসায় না রেখে ডে কেয়ার সেন্টারে রাখব তার কারণগুলো তুলে ধরলেই বোঝা যাবে কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা আজকাল কতটুকু জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে দেশের যেকোনো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুদের যত্ন ও নিরাপত্তা দিতে নিয়োজিত থাকে
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশুপ্রতিপালক। তারা সারাদিন ডে-কেয়ারের প্রতিটি শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও যত্নের প্রতি দৃষ্টি রাখে। তাদের খাবার, গোসল, ঘুম, খেলা, লেখাপড়া, আচার-ব্যবহার এবং তাদের সার্বিক বিকাশের জন্য যেসব কার্যক্রমগুলো প্রয়োজন হয়, সেগুলো তারা খুব সুশৃঙ্খলভাবে করে থাকে। আর এই শিশু পরিচারিকাদের পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য থাকে শিক্ষিকা বা সুপারভাইজার। যাদের কাজ হচ্ছে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করতে সাহায্য করা ও শিক্ষাগ্রহণের উপযুক্ত গড়ে তোলা।