সংকট স্বীকারেই সমাধানের সম্ভাবনা

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৩৮

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের ক্রমহ্রাসমানতা লইয়া সন্দেহ না থাকিলেও বিতর্ক উঠিয়াছে উহার প্রভাব লইয়া। অর্থনীতিবিদগণের বৃহত্তর অংশ এতদ্বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করিলেও ক্ষমতাসীন মহল আশ্বস্ত করিতেছে– পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রহিয়াছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন কয়েক দিন পূর্বে বলিয়াছিলেন, রিজার্ভ পরিস্থিতি বিপজ্জনক না হইলেও উদ্বেগের পর্যায়ে চলিয়া গিয়াছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলিয়াছেন, রিজার্ভ লইয়া চিন্তিত থাকিলেও শঙ্কিত হইবার কারণ নাই। খোদ প্রধানমন্ত্রীও বলিয়াছেন, রিজার্ভ লইয়া ‘অত চিন্তার কিছু নাই’। আমরা মনে করি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত হ্রাসের বিষয়টিকে আর যাহাই হউক রাজনৈতিক বাক্যালংকারে মুড়িয়া ফেলা উচিত হইবে না।


স্বীকার্য, ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকিলেই চলে। ইহাও সত্য, বৈদেশিক মুদ্রার বিদ্যমান মজুত ফুরাইতে ফুরাইতে রপ্তানিলব্ধ বৈদেশিক মুদ্রা কিংবা প্রবাসী আয়ও দেশে প্রবেশ করিবে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকিতে হয়। যেমন দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা আর্থসামাজিক সংকট দেখা দিলেই জরুরি খাদ্য সরঞ্জাম বা কৃষি উপকরণ ক্রয় করিতে গিয়া মজুতে টান পড়া অস্বাভাবিক নহে। আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক বা ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটিলেও স্বাভাবিক আমদানিতে প্রয়োজন হইবে বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা। এইরূপ নেতিবাচক কিছু না ঘটিবার নিশ্চয়তা কেহ কি দিতে পারিবে? বিশেষত ইউরোপে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালেই মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বাধিয়া গিয়াছে। আগামী দিনের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তথা রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের অনিশ্চয়তা অনিবার্য হইয়া উঠিতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও