![](https://media.priyo.com/img/500x/https://samakal.com/uploads/2023/10/online/photos/Untitled-1-samakal-652446ef22825.jpg)
টাকার সংকটে ধার করে চলছে অনেক ব্যাংক
ডলার সংকটের এ সময়ে টাকার টানাটানিতে পড়েছে ব্যাংক খাত। সংকট কাটাতে নিয়মিত ধার করে চলছে অনেক ব্যাংক। এত ধারের পরও এক সময় ভালো অবস্থানে থাকা কয়েকটি ব্যাংক এখন নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ নগদ জমা (সিআরআর) রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন কয়েকটি ব্যাংক ২০ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা ধার করেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেয় ১৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা। কলমানিসহ আন্তঃব্যাংক থেকে নেওয়া হয় ৬ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। আন্তঃব্যাংক লেনদেনে সুদহার বেড়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে ওঠে। এর আগের রোববার ব্যাংকগুলোর ধারের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেয় ১৫ হাজার ৭৪৬ কোটি এবং আন্তঃব্যাংক থেকে ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা নেওয়া হয়। ওই দিন সর্বোচ্চ সুদ ছিল ৯ শতাংশ। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই বড় অঙ্কের ধার করছে ব্যাংকগুলো। এরপরও শরিয়াহভিত্তিক ৫টিসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক অনেক দিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিআরআর সংরক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব ব্যাংকের ওপর আরোপ করা দণ্ডসুদ পরিশোধের মতো অবস্থাও নেই। যে কারণে দণ্ডসুদ পরিশোধে সময় নিয়েছে সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো। জানতে চাইলে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি তেমন হচ্ছে না। এরপরও কেন ধার করতে হচ্ছে বলতে পারব না। তবে সাধারণভাবে কোনো ব্যাংকের যখন ঋণ ফেরত কমে যায় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা আন্তঃব্যাংক কলমানি থেকে ধার করতে হয়।’