রূপে তোমায় ভোলাব না
সকালটা মেঘলা ছিল। ঘরময় বেজে যাচ্ছে সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েকের কণ্ঠে ‘বন্ধু, রহো রহো সাথে/ আজি এ সঘন শ্রাবণপ্রাতে।’ আহা। ‘সুনিধি নায়েক এখন ঢাকায় না?’ চট করেই মনে প্রশ্ন জাগল। ডায়েরি উল্টেপাল্টে খুঁজে বের করলাম তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। খুদে বার্তা পাঠিয়ে জানালাম, একটু কথা বলতে চাই। অল্প সময়ের মধ্য়েই ফিরতি মেসেজে তিনি সম্মতি জানালেন। বিকেলে ফোন করলাম। রিং বেজে যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে বেড়ে ওঠা সুনিধির। তাঁর মা হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের চর্চা করতেন। মায়ের কাছে তিন বছর বয়স থেকে গান শেখা শুরু। এরপর পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে তালিম নেন। ২০১২ সালে রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে শান্তিনিকেতনে পড়া শুরু করেন। সেখানেই পরিচয় শায়ান চৌধুরী অর্ণবের সঙ্গে। পরিচয় থেকে পরিণয়, এরপর বিয়ে করে পাঁচ বছর পার! তারপর কোক স্টুডিও বাংলায় নিয়মিতই উপস্থিত হচ্ছেন এই দুই তারকা।
এসব ভাবতে ভাবতেই সেলফোনের ওপাশ থেকে মিষ্টি গলা ভেসে এল, ‘হ্যালো!’ জানালাম, ব্যস্ততা না থাকলে খানিকক্ষণ আলাপ করা যাবে কি না। তারপর আলাপ চলল বেশ কিছুক্ষণ। পূজার ছুটি কাটবে পশ্চিমবঙ্গে
পূজা বাড়িতে কাটবে, বাবার সঙ্গে। তাঁর গ্রামের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায়। দাদু জমিদার ছিলেন। পুরো গ্রামে নিজেদের পূজা হয়। এ সময়টা গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়।