এখনও বিনোদনের প্রধান মাধ্যম টেলিভিশন, বছরে বিক্রি ১৮ লাখ
ঘরের কোণের টেবিল বা ওয়ার্ডরোবের ওপরে রাখা সাদা-কালো টিভি এখন আর তেমন চোখেই পড়ে না। সে জায়গায় দেখা যায়, দেয়ালের সঙ্গে আটকে রাখা রঙিন টেলিভিশন। যদিও টেলিভিশনে রঙ লেগেছে অনেক আগেই। বসার ঘরের শোভা বাড়িয়ে টেলিভিশন অনেক আগেই শোবার ঘরেও জায়গা করে নিয়েছে। টেবিল বা ওয়ার্ডরোবের ওপরে সেই বাক্স আকারের টেলিভিশন পাতলা আর সরু হতে হতে এমন অবস্থায় পৌঁছে যে, তা দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখেও দেখা যাচ্ছে। বিনোদনের এখনও প্রধান মাধ্যম এই টেলিভিশন। শহরে কী গ্রামে, সব জায়গায় তার কদর সমান।
সাদা-কালো যুগের সেই ফিলিপস, ন্যাশনাল টেলিভিশনের পরে এলো আরও কত নামের টিভি। রয়েল নামের রঙিন টিভি তখন বেশ অবস্থা-সম্পন্ন মানুষের ঘরে দেখা যেতো। এখন আর সেই যুগ নেই। এখন সময় আধুনিকতার। কে কত আধুনিক প্রযুক্তির টেলিভিশন রাখতে পারে, দেখতে পারে তার একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা যেন দেখা যায় বাজারে গেলে। কত ব্র্যান্ডের ও মডেলের টিভি যে এখন বাজারে! সনি টেলিভিশন এখনও তার আভিজাত্য বজায় রেখেছে। স্যামসাং চোখ ধাঁধানো পর্দার টেলিভিশন হাজির করছে চোখের সামনে। এলজি, সিঙ্গার, তোশিবা, প্যানাসনিক, হাইসেন্স, টিসিএল, শাওমি, কংকা ইত্যাদি ব্র্যান্ডের টিভি আছে প্রযুক্তির দৌড়ে। পিছিয়ে নেই ওয়ালটন, মিনিস্টার, মার্সেল, মাই ওয়ান ইত্যাদি ব্র্যান্ডের টিভিও।
সিআরটি (ক্যাথড রে টিউব) মডেলের বাক্স আকারের টিভির পরে আস্তে আস্তে এলো সেমি ফ্ল্যাট, ফ্ল্যাট টিভি। টিভি পর্দায় ব্যবহার হতে শুরু করলো এলসিডি, এলইডি, কিউএলইডি প্রযুক্তি। থ্রি-ডি টিভিও এক সময় দর্শকের মনে দোলা দিয়ে গেছে। আল্ট্রা এইচডি প্রযুক্তিও যেন টিভি দর্শকের মন ভরাতে পারছে না। ফোর-কে, এইট-কে পর্দার টিভির কথা এখন হরহামেশা শোনা যাচ্ছে।
ডাউন পেমেন্ট না দিয়ে কিস্তিতেও টিভি কেনা যাচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে কোনও ধরনের সুদ না দিয়ে ইএমআই অপশন ব্যবহার করেও কেনা যাচ্ছে টেলিভিশন। জানা গেছে, দেশে দৈনিক ৫০ টাকা কিস্তি দিয়েও টেলিভিশন কেনা সম্ভব।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- টেলিভিশন
- বিক্রি