কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইলিশ এবং মধ্যবিত্তের অসহায় জীবন

বাংলা ট্রিবিউন রেজানুর রহমান প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৪০

কয়েক বছরর আগেও পাঁচশ’ টাকার একটি নোটের অনেক কদর ছিল। পাঁচশ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করা যেত। আর এখন এক হাজার টাকার নোটেরও সেই কদর নাই। যতক্ষণ নোটটা পকেটে থাকে ততক্ষণই মনে শান্তি। নোটটা ভাঙালেই অর্থাৎ কাচা বাজার করতে গেলেই নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়। উচ্চবিত্ত যারা তাদের জন্য এটা কোনও বিষয়ই নয়। আবার নিম্নবিত্ত যারা তারাও এ বিষয়ে শঙ্কিত নয়। কারণ উচ্চবিত্ত সাহায্য দেয়। নিম্নবিত্ত এই আর্থিক সাহায্যকে অধিকার হিসেবে গ্রহণ করে। মাঝখানে ‘শাকের করাত’ অবস্থা মধ্যবিত্তের। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠি পড়েছে মহাবিপাকে। গেরস্থালি সহ খাদ্য পণ্যের মূল্য এতটাই বেড়েছে যে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস অবস্থা। এরা কাউকে কিছু বলতে পারছে না। আবার সংসারের আর্থিক কষ্ট সইতেও পারছে না। বাজারে গেলে এরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে। প্রতিদিনের বাজার কাটছাট করে। এক কেজির বদলে হাফ কেজি নেয়। কেউ কেউ আড়াইশ গ্রামের মধ্যেই হিসেবে মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাতেও স্বস্তি নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে চতুর, সুবিধাভোগি দোকানদার আড়াইশ গ্রাম পণ্য বিক্রি করতে চায় না। মোহাম্মদপুর টাউন হলের বাজারে একজন লোক আড়াইশ গ্রাম পটল কিনবেন বলে দোকানীর সামনে ময়লা পুরনো ব্যাগ এগিয়ে দিলেন। দোকানী যারপর নাই বিরক্ত। আড়াইশ গ্রাম পটল বিক্রি হবে না। নিলে কম পক্ষে ৫০০ গ্রাম নিতে হবে। এই নিয়ে শুরু হয়ে গেলো তুমুল তর্ক। বিক্রেতার একটাই কথা ৫০০ গ্রামের নিচে কোনও সবজি বিক্রি হবে না। ক্রেতা নাছোড়বান্দা। তাকে আড়াইশ গ্রামই দিতে হবে। পাশে দাঁড়ানো অনেকেই অসহায় এই ক্রেতার পক্ষেই দাঁড়ালেন। শেষ মেষ বিরক্ত চেহারায় আড়াইশ গ্রাম পটল দিতে বাধ্য হলেন বিক্রেতা। ক্রেতার অসহায় মুখে স্বস্তির হাসি। যাক, আজ তাহলে বাসায় পটল ভাজির উৎসব হবে।


মাছের রাজা ইলিশ। খুব কি বেশি দিনের কথা, যখন ইলিশ উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি নিম্নবিত্তের হেঁসেলেও সমান আনন্দ ছড়াত? আজ ইলিশ রান্না হবে। হেঁসেলের এই বার্তা কী যে আনন্দ আর খুশি ছড়িয়ে দিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সকল সদস্যের মাঝে। অথচ মধ্যবিত্তের কাছে ইলিশ এখন অলীক স্বপ্ন। একটা সময় ইলিশের ভরা মৌসুমে ৬/৭শ টাকার মধ্যেই মোটামুটি বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যেত। আর এখন মোটামুটি বড় সাইজের ইলিশ কিনতে হলে গুনতে হবে নিদেন পক্ষে ১৫শ টাকা। ফলে মাছের রাজা ইলিশ এখন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে অতীত স্মৃতির হিসেবে স্থান পেতে চলেছে।


হাতিরপুল এলাকায় রাস্তার ধার ঘেঁষেই একটি বাজার আছে। সেখানেই দেখলাম একজন অসহায় ক্রেতার মুখ। ইলিশ কেনার জন্য এই দোকান থেকে সেই দোকানে যাচ্ছেন। দরদামে মিলছে না তাই অস্থির ভাব তার চোখে-মুখে। এক দোকানে ইলিশ টিপে দেখার উদ্যোগ নিতেই দোকানী তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন– এই যে মিয়া মাছ এত টিপতেছেন ক্যান? ‘আধঘণ্টা ধুইর‌্যা তো শুধুই এই দোকান থাইক্যা ওই দোকানে ঘুরতেছেন। আপনে ইলিশ কিনতে পারবেন না। আজাইর‌্যা টিপাটিপি করবেন না তো...’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও