বিদেশে নেওয়ার যত চেষ্টা
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে নিয়ে যারপরনাই উদ্বিগ্ন দলের নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার্থে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী, উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সম্ভাব্য সব পথই অবলম্বন করছেন দলটির নেতারা। তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন জানানোর পাশাপাশি তার আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে আবার রিট করার কথা ভাবছে। কূটনৈতিক উদ্যোগও অব্যাহত রেখেছে বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে আমরা আলটিমেটাম দিয়েছি। কর্মসূচি দিচ্ছি। সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরপরও সরকার তৎপর না হলে, তাদের বোধোদয় না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
বিএনপি-সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক হারুণ অর রশীদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘চেয়ারপারসনের শারীরিক যে অবস্থা তাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া তাকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব নয়। তার লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। এজন্য তাকে সম্মিলিত আধুনিক মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারসমৃদ্ধ হাসপাতালে নিতে হবে। কাছাকাছি সিঙ্গাপুরে এমন হাসপাতাল রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সে আধুনিক চিকিৎসাসেবা রয়েছে।’
আমেরিকায় অবস্থানরত খালেদা জিয়ার মেজো বোন সেলিমা ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দরকার। তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যতবার আবেদন করা হয়েছে, ততবারই চিকিৎসকদের পরামর্শের কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। এখন আইনমন্ত্রী বলছেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চাইলে আবেদন করতে হবে। আমরা আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেলে আবেদন করা হবে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে।’