আন্দোলন গতিশীল করতে শ্রমজীবীদের টানছে বিএনপি
সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও গতিশীল করতে এবার শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রমিক-কর্মচারী কনভেনশন। ‘ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, বাঁচার মতো মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন’ স্লোগানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৪০ বছর পর দেশের ১৫টিরও বেশি শ্রমিক সংগঠনকে নিয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে চলছে কর্মযজ্ঞ। ১০ হাজারের বেশি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের বহিরাঙ্গন মাঠে দুপুরের পর থেকে দেশের প্রথিতযশা শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে শ্রমিক মহাসমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।
জানা গেছে, বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনের সঙ্গে দেশের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার কৌশলের অংশ হিসেবে শ্রমিক সংগঠনকে সক্রিয় করা হয়। সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থনপুষ্ট এবং নির্দলীয় শ্রমিক সংগঠনকে নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ছাড়াও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি, শ্রমিক আন্দোলন, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ মজলিশ, জাতীয় শ্রমিক পার্টিসহ ১৫টি সংগঠন রয়েছে। সূত্র জানায়, সারাদেশে শ্রমজীবী মানুষকে সংঘবদ্ধ করতে এবং তাদের রুটি-রুজির বিষয়ে সচেতন করতে ১০ বিভাগ ছাড়াও ৩৫টি জেলায় বৈঠক করেছেন শ্রমিক দলের নেতারা। আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানান, তাদের এ কনভেনশন আয়োজনেও প্রতি পদে পদে বাধা দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের বেশি সময় ভেন্যু জটিলতায় ভুগতে হয়েছে তাদের। তারা যেখানেই এ কনভেনশনের জন্য অনুমতি চেয়েছেন, সেখানেই বাধা দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মহানগর নাট্যমঞ্চের বহিরাঙ্গনে তাদের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। কনভেনশন আয়োজকের প্রধান ভূমিকা পালনকারী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই শ্রমিক আন্দোলন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মৌলিক ভূমিকা রেখেছে। দেশে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক শ্রেণি সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছে। একটি দেশের স্বপ্ন দেখাতে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও শ্রমিক সমাজ প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ধ্বংস করা হয়েছে।