যেসব উন্নয়ন প্রকল্প অর্থনীতিতে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে

সমকাল ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩০

সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে যে ভয়াবহ বন্যা অর্থনীতিতে বড় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে, তার জন্য দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথকে প্রধানত দায়ী করা হচ্ছে। এই রেলপথ উত্তর-দক্ষিণে একটা বাঁধের মতো পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় আগস্ট মাসের অতিবৃষ্টির পানি পূর্বের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে দ্রুত নেমে যেতে পারেনি। এই রেলপথের চন্দনাইশ-সাতকানিয়া-লোহাগাড়া-চকরিয়া এলাকায় পরিকল্পিতভাবে যথেষ্টসংখ্যক কালভার্ট বা সেতু নির্মিত না হওয়াই এর কারণ।


বন্যার সময় রেলপথের দু’পাশে পানির উচ্চতায় কয়েক ফুটের পার্থক্য সৃষ্টি হওয়ায় পানি নেমে যাওয়ায় বাধা সৃষ্টির ব্যাপারটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। পানির উচ্চতা ঘরবাড়ির চাল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল বলে জনগণ অভিযোগ তুলেছে। এ রকম বন্যা গত ৪০ বছরে কেউ দেখেনি বলে সবাই বলাবলি করছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, খোদ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথই অনেক জায়গায় ভয়াবহ রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আগামী অক্টোবর মাসে রেলপথটি উদ্বোধন করার কথা। আমার মনে হয়, বিভিন্ন স্থানে আরও নতুন কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পরই রেলপথটি চালু করা সমীচীন। এ প্রকল্পের কারণে আর কখনোই যেন এবারের সর্বনাশা বন্যার ক্ষতির পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটা নিশ্চিত করেই প্রকল্পটি উদ্বোধন করা যৌক্তক হবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। অতএব এ প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে ভালো ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’ করার কথা ছিল। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি তাদের কাজ ঠিকমতো করেনি!


কিছুদিন আগে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মিডিয়ায় একটি সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন, ‘হাওরে পাকা সড়ক বানিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছি।’ হাওরে নির্মিত ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের সংযোগকারী প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন মহাসড়ক সম্পর্কে সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কৃতী সন্তান মান্নানের এই স্বীকারোক্তি। হাওরাঞ্চলের আরেক কৃতী সন্তান সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধানত প্রকল্পটি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকারকে প্রভাবিত করেছিলেন। প্রথম দৃষ্টিতে মহাসড়ককে হাওরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বিবেচনা করা সংগত মনে হলেও প্রকল্পটি যে জনগণের জন্য আখেরে উপকারের চাইতে অনেক বেশি ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করবে, তা তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও