কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জলাবদ্ধতা: বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হচ্ছে না

বণিক বার্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন মো. সিরাজুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২৩

ড. মো. সিরাজুল ইসলাম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসেসের (সিআইআরএস) পরিচালক। বুয়েট থেকে পুরকৌশলে স্নাতক, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর থেকে স্নাতকোত্তর ও জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। পানি ও পরিবেশ প্রকৌশল, বিশেষ করে নগর পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মূলত তার মূল গবেষণার বিষয়। ঢাকার জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম


সম্প্রতি জলাবদ্ধতায় নাকাল হলো পুরো ঢাকা। দুর্ঘটনায় চারজনের প্রাণহানি হলো। বৃষ্টিতে যে নিয়মিত জলাবদ্ধতা হচ্ছে এর কারণগুলো কী? 


ড. মো. সিরাজুল ইসলাম: জলাবদ্ধতা এ নগরীর পরিবেশবিষয়ক সমস্যাবলির মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যেখানে বছরে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, জলাবদ্ধতা এখানে একটি অন্যতম সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে, তা আগে থেকেই নগর ব্যবস্থাপকদের বোঝা উচিত ছিল। কেন একটি নগরীতে জলাবদ্ধতা হয়, এটি আসলে অংকের মতোই একটি স্বতঃসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক বিষয়। সিটি করপোরেশন বা ‘ওয়াসা’তে যারা প্রকৌশল বিভাগে আছেন, তাদের অবশ্যই তা জানার কথা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ‘হাইড্রোলজি’ একটি অবশ্যপাঠ্য বিষয়। আর এর আলোচনার বিষয়বস্তু মূলত আবর্তিত হয় ‘হাইড্রোলজিক্যাল সাইকেল বা পানিচক্র’ ঘিরে। 


বৃষ্টির পর পানি মাটিতে পড়ার সময় কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রাকৃতিক ভূমিরূপ তথা গ্রামাঞ্চলে এ পানির একটি বড় অংশ বা ৫০ শতাংশ মাটি শুষে নেয়। বাকি অংশগুলোর মধ্যে কিছু আবার বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বাতাসে উড়ে যায় কিংবা গাছ শুষে নেয় ইত্যাদি। শেষমেশ প্রায় ১০ শতাংশের মতো ‘রানঅফ বা ভূ-উপরিস্থিত পানি’ হিসেবে মাটির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পাশের নালা-খাল বা নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু এ একই প্রাকৃতিক ভূমি যখন নগরে রূপান্তরিত হয় তখন কী ঘটে? প্রাকৃতিক ভূমি তখন কংক্রিটের বাড়িঘর আর পিচঢালা রাস্তা তথা ‘পানি অপ্রবেশ্য’ বা ‘ইম্পারভিয়াস’ তলে পরিণত হয়, যাতে পানি মাটিতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ‘রানঅফ বা ভূ-উপরিস্থিত পানি’ হিসেবে যা পাশের ড্রেনে যাচ্ছে, তা ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫০-৬০ শতাংশে। ঢাকার হিসাব আরো করুণ। এখানে ভূগর্ভে পানি প্রবেশের পরিমাণ কমে প্রায় ১০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। আপনি হয়তো শুনে থাকবেন যে ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে এরই মধ্যে। তাছাড়া বৃষ্টির পানি ধরে রাখার মতো প্রাকৃতিক জলাধার যথা পুকুর-খাল-বিল প্রায় প্রতি বছর কমছে—নিশ্চিহ্ন  হয়ে যাচ্ছে খোলা জায়গা বা মাঠগুলো। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও