সম্পদের খোঁজে মহাশূন্যে মানুষ
পৃথিবীতে খনিজ বিরল ধাতুর চাহিদা দিন দিন প্রায় গুণিতক হারে বাড়ছে; বিশেষ করে বিরল মৃত্তিকা ও প্ল্যাটিনাম গ্রুপের ধাতুগুলো চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম। ফলে এক কেজি রোডিয়ামের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বা দেড় কোটি টাকা। ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত এসব বহু মূল্যবান ধাতু প্রায় শেষ। নতুন কোনো উৎসের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
অথচ মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারে এসব ধাতুর বিকল্প আজও পাওয়া যায়নি বা উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। সাগর, মহাসাগরের তলদেশ ওলট-পালট করলে হয়তো কিছুটা মিলতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে বিশ্রী রকমের পরিবেশদূষণ ঘটবে।
মানুষের দৃষ্টি এখন মহাকাশে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ানো অযুত কোটি গ্রহাণুর দিকে। এসব গ্রহাণুর অনেকগুলোতে মজুত আছে বিপুল পরিমাণে বহু মূল্যবান ধাতু। আর তাই বেসরকারি উদ্যোগেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের বেশ কিছু স্টার্টআপ মহাকাশে ‘গ্রহাণু শিকার’-এর মহাপরিকল্পনা করেছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ, যুক্তরাজ্যের এস্ট্রয়েড মাইনিং করপোরেশন, জাপানের আই স্পেস ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাস্ট্রফর্জ। এ প্রতিষ্ঠান পৃথিবী থেকে ৩ কোটি কিলোমিটার বা ১ কোটি ৮৬ লাখ মাইল দূরের অপেক্ষাকৃত ছোট একটি গ্রহাণুকে নিশানা করেছে। তারা সেখানে নভোযান পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের এমন অভিযান হবে প্রথম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত অভিযান।