আসন্ন সংঘাত ও নির্বাচন: মৌলিক প্রশ্নের সামনে

সমকাল মাহবুব আজীজ প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১২

আগামী নভেম্বর মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন [ইসি] ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ হতে পারে। বিএনপি আসবে না ধরেই ইসির ‘সুষ্ঠু’ ভোটের প্রস্তুতির সংবাদ এরই মধ্যে প্রকাশিত। [সমকাল, ২১ সেপ্টেম্বর, ২৩]


নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই মুখোমুখি অবস্থানে পৌঁছে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তপশিল ঘোষণার আগেই বিএনপি চাইছে মূল দাবি আদায় করে নিতে। মূল দাবি অর্থাৎ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে গত সোমবার থেকে দেশজুড়ে টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে তা পালন করছে বিএনপি। পরদিন বিএনপির কর্মসূচির অনুসরণে আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে হাজির থাকার ঘোষণা দিয়ে তা পালন করতে শুরু করে। দুই দলের পরিষ্কার অবস্থান– বিএনপি যেভাবেই হোক নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে ছাড়বে, আর সরকারি দল আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করা ছাড়া কোনো কথা শুনতে রাজি নয়।


আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এই মুখোমুখি সংঘর্ষমুখর অবস্থানে দেশের সাধারণ মানুষের ভীত হবার কথা, এবং তারা নিশ্চিতভাবেই ভীত। এক বছর ধরেই দুই প্রতিপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছে এবং কর্মসূচির একমাত্র লক্ষ্য– কী উপায়ে নির্বাচন হবে? দেশে সমস্যার পর সমস্যা– দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, বিনিয়োগ স্থবির, ডেঙ্গুতে দেশে গত ২২ বছরে দেশে যত মানুষ মারা গেছে তার চেয়ে চলতি বছরের আট মাসে বেশি মানুষ মরেছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণও সব রেকর্ড ভেঙেছে। না, এসবের কোনোকিছুই দুটি দলকে বিচলিত করেনি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও রাজনীতিতে এই টানটান উত্তেজনা আমরা দেখেছি– দুই দলের যুদ্ধংদেহী মনোভাব– যেভাবেই হোক, তাদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে! ২০১৪-তে নির্বাচনের আগে আগুন সন্ত্রাসের স্মৃতি মানুষের মনে নিশ্চয়ই এখনও টাটকা; দুই দল একে অপরকে আগুন সন্ত্রাসে দায়ী করে, যদিও আগুনে পুড়ে মরেছে সাধারণ মানুষ, যাদের জীবনমান উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষায় দুটি দলই ক্ষমতায় আসবার জন্য রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে প্রাণপাত করে! বিগত দুটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এবারের নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা আরও বেশি। বিএনপি নেতারা এরই মধ্যে প্রকাশ্য সমাবেশে নেতাকর্মীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করছেন, সরকারকে ফেলে দিতে ভবিষ্যতে হরতাল-অবরোধে তারা কর্মীদের পাশে পাবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ রাজপথে বিএনপিকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না বলছে। ফলাফল: সেই টানটান উত্তেজনা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও