কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলার নদী বাংলার জল কেন হারায় প্রবাহ হয় নিশ্চল

বণিক বার্তা ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৬

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, এ মেমোয়ার’ পড়ছিলাম আর যখন ‘রিভারস ইন বেঙ্গল’ অংশে প্রবেশ করলাম তখন গতি থেমে গেল। মনে হচ্ছিল নদীতে নৌকায় ভাসছি, জোয়ার-ভাটায় সামনে পেছনে যাচ্ছি আসছি, ঢেউয়ের তালে দোল খাচ্ছি। নদী থেকে আর সরে আসতে পারছি না। আহা! নদীময় বাংলাদেশের চিরায়ত দৃশ্য যেন ধরা দিল নোবেল বিজয়ীর স্মৃতিকথায়। আমার শৈশব-কৈশোরজুড়েও রয়েছে নদীময় স্মৃতি। যোগাযোগের সবচেয়ে মজার এবং ভয়ানক অভিজ্ঞতাও নদীকেন্দ্রিক। সেই নদীগুলো এখন কেমন আছে খুব জানতে ইচ্ছা করে। আগের মতো যে নেই সেটা নিশ্চিত। পরিবর্তিত অবস্থা কেমন এবং কেনইবা এমন হলো সেটা জানা খুব দরকার টিকে থাকার প্রয়োজনেই। আজ যেসব নদীর কথা এখানে আলোচনা হবে কালের চক্রে সেগুলোও হারিয়ে যাবে এবং হয়ে থাকবে ইতিহাসের অংশ।


বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহিত হয়েছে যার মধ্যে ৫৪টি নদী সরাসরি ভারত থেকে এবং তিনটি মিয়ানমার থেকে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক ‘বাংলাদেশের-নদী’ নামক প্রকাশনায় বলা হয়েছে, গ্রীষ্মে ৩১০টি নদী প্রবাহিত হয়, বোর্ডটি তাদের অন্য গবেষণায় পুনরায় প্রকাশ করেছে যেখানে ৪০৫টি নদীর কথা বলা হয়েছে। তবে নদীর এ সংখ্যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে, কারণ নদীকে সংজ্ঞায়িত করা এবং সে অনুসারে সংখ্যা নিরূপণে পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব রয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক সূত্র বলছে দেশে নদীর সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০। এও বলা হচ্ছে যে অনেক নদী এরই মধ্যে শুকিয়ে গেছে এবং দূষণ ও দখলের কবলে বেশকিছু হারিয়ে যাওয়ার পথে। উল্লেখ করার মতো ১৭টি নদী এখন বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। যা হোক, ব্রহ্মপুত্রকে “নদ” বলা হয় এবং সেটাকে সাধারণ শব্দ “নদী” হিসেবে নিলে আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৮টি হতে পারে। নদী কীভাবে ‘নারী’ এবং নদ কীভাবে ‘নর’ হলো সে নিয়ে বিস্তর আলোচনা কিংবা বিতর্ক হতেই পারে। সংক্ষেপে বলা চলে, নদীগুলোর লিঙ্গ বিভাজন ইতিহাস থেকে বিভিন্নভাবে এসেছে তবে তা প্রধানত নদীর উৎসের ওপর নির্ভর করেই হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আকার বা প্রবাহের দ্রুততার ভিত্তিতে হতেও পারে।


সময়ের সঙ্গে আমরা অনেক নদীর নামও ভুলতে বসেছি। এই যে কত নদী, যেমন বালু, বংশী, বড়াল, বিশখালী, ব্রহ্মপুত্র, বুড়াগৌরাঙ্গ, বুড়িগঙ্গা, বুড়িশ্বর, বলেশ্বর, ভৈরব, চিত্রা, চিকনাই, চিরি, চিত্রা, চন্দনা, ডাকাতিয়া, ধলেশ্বরী, ধানসিঁড়ি, ধনু, ধরলা, ধিপা, ধলাই, দলু, গড়াই, গোমতী, গড়াল-মধুমতী, হালদা, জলঢাকা, যমুনা, মনু, মধুমতী, মহানন্দা, মাকুন্দ, মুক্তেশ্বরী, সোমেশ্বরী, সুগন্ধা, সুরমা, হালদা, ইছামতী, ঝিনাই, কালীগঙ্গা, কংস, করতোয়া, কর্ণফুলী, কীর্তনখোলা, কপোতাক্ষ, কুশিয়ারা, কপোতাক্ষ, কুমার, খোয়াই, খিরু, নাংতাই, আতিয়া, আন্ধারমানিক, আত্রাই, মহানন্দা, মনু, নবগঙ্গা, নাফ, পশুর, পুংলি, পুনর্ভবা, রাইমঙ্গল, রূপসা, সাংগু, শীতলক্ষ্যা, সুরমা, তিস্তা, তিতাস, তুলসী গঙ্গা, তুরাগ, শিবসা, রূপসা, ভদ্রা, মাথাভাঙ্গা, ছোট ফেনী নদী, বড় ফেনী নদী, মুহুরী, পদ্মা, সন্ধ্যা, লৌহজং, লোহালিয়া, নরসুন্দা, নীলগঞ্জ, নবগঙ্গা, তেঁতুলিয়া, পায়রা, দুধকুমার, ঘাগটের বাইরেও আরো কত ছোট-বড় নদী সারা দেশকে জালের মতো জড়িয়ে রেখেছে তার ইয়ত্তা নেই। অনেক নদী আছে যার স্বতন্ত্র নামও নেই, বরং যে এলাকায় প্রবাহিত হচ্ছে সে এলাকার নামে পরিচিত। নদীগুলোর নামের সঙ্গে রয়েছে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্মাচার আরো কত কী!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও