আলঝেইমার রোগ সচেতনতা জরুরি
২১ সেপ্টেম্বরকে আলঝেইমার দিবস আর পুরো সেপ্টেম্বর মাসকে আলঝেইমার মাস হিসেবে পালন করা হয়। আলঝেইমার হলো মস্তিষ্কের একধরনের রোগ। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি স্মৃতিশক্তি, মেধা, বিচারক্ষমতা, যুক্তিসংগত আবেগ, সামাজিক দক্ষতা হারাতে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের কোষগুলো সংকুচিত হতে থাকে, জট লাগে, ফলক বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্তর পড়ে। মস্তিষ্কের যে অংশ আক্রান্ত হবে, রোগের লক্ষণ সেভাবেই প্রকাশ পাবে। রোগটির আবিষ্কারক জার্মান মানসিক রোগের চিকিৎসক আলঝেইমার। তাঁর নামানুসারে রোগটির নামকরণ করা হয়।
সব বয়সী মানুষের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে ৬৫ বছরের অধিক বয়সী মানুষের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। পুরুষের চেয়ে নারীর বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আলঝেইমার রোগের সাধারণত তিনটি পর্যায় আছে। প্রথম পর্যায়ে এই রোগের সূত্রপাত হয় খুবই ধীরগতিতে। প্রায় অনেকেই প্রথম দিকে বুঝতে পারে না যে এ ধরনের একটি রোগে সে আক্রান্ত হয়েছে। শুরুতে ব্যক্তি একটু বেশি উদাসীন থাকে। কোনো কিছুতেই আগ্রহ বোধ করে না। তার মাঝে কোনো আনন্দ লক্ষ করা যায় না। মেজাজটা প্রায় বিগড়ে যায়, খিটখিটে থাকে। একটুতেই হতাশা হয়ে পড়ে। কথা গুছিয়ে বলতে পারে না, সঠিক শব্দ বা বাক্য ব্যবহারে বিলম্ব করে। নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠে। একই কথা বারবার বলে। চিন্তাভাবনা দ্রুত করতে পারে না। প্রতিদিনের কাজকর্ম শেষ করতে দেরি হয়। বর্তমানে ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে করতে পারে না, কিন্তু অতীতের ঘটনা স্পষ্ট মনে করতে পারে। টাকা-পয়সার হিসাব রাখতে পারে না, প্রায়ই হারিয়ে ফেলে। আবার কেউ নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করে। নিয়মিত ওষুধ-পথ্য খেতে ভুলে যায়। এমন সব সিদ্ধান্ত নেয়, যা নিজের অথবা পরিবারের জন্য ক্ষতিকর। ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে।