গরিবের ঝুপড়ি হোটেলেও বেড়েছে খাবারের দাম
দুই প্লেট ভাত, এক গোল্লা আলুভর্তা, ডাল আর অর্ধেক ডিম ভাজা দিয়ে ভাত খাওয়া শেষে হাত ধুতে ধুতে বিল কত হলো জানতে চাইলেন রিকশাচালক মো. আবু হানিফ (৫২)। দোকানির মুখে ৬৫ টাকা বিলের কথা শুনে চমকে উঠলেন তিনি। আমতা আমতা করে একটু উঁচু স্বরে বললেন, ‘কীভাবে এত টাকা হলো?’ দোকানির উত্তর, ‘দুই প্লেট ভাত ৩০ টাকা, আলুভর্তা ১০ টাকা, ডাল ৫ টাকা, আর অর্ধেক ডিম ভাজা ২০ টাকা।’
রিকশাচালক আবু হানিফের জবাব, ডাল তো আগে ফ্রি ছিল। আলুভর্তার গোল্লা ছিল ৫ টাকা। অর্ধেক ডিম ভাজা ১৫ টাকা, আর ভাতের প্লেটের দাম ছিল ১০ টাকা। সেই হিসাবে বিল হয়েছে ৪০ টাকা। আপনি বেশি চান কেন? আবু হানিফের কথায় বিরক্ত হয়ে দোকানি জানালেন, বাজার-সদাই করেন না নাকি? ডাল, ডিম, আলুসহ সবকিছু বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই এখানেও দাম বেড়েছে। এখন আর কোনও কিছু ফ্রি নাই।
নিরুপায় হয়ে পকেট থেকে দুই টাকা, পাঁচ টাকা ও ১০ টাকার নোট বের করে সব মিলিয়ে হোটেল মালিকের হাতে ৫৩ টাকা দিয়ে আবু হানিফ বললেন, ‘আমার কাছে আর নেই।’ এমন কথা শুনেই দোকানি ধমক দিয়ে বললেন, খাওয়ার আগে দাম জিজ্ঞেস করতে পারেন না? পরে বললে তো হবে না। সকাল সকাল ঝামেলা করতে এসেছেন! এরপর কিছু না বলে চুপচাপ গামছা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন রিকশাচালক হানিফ।