মন পড়ে থাকে মায়ের কাছে
হাসপাতাল থেকে পুরস্কার মঞ্চে
আগস্টের শেষ দিকে অর্ষা ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিছুদিন ছিলেন শয্যাশায়ী। মা কিডনির রোগে ভুগছেন, ডায়াবেটিসের সমস্যাও বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাই মাকেও ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তিন বোন পর্যায়ক্রমে মায়ের দেখভাল করেন। বাবাও ডায়াবেটিসের রোগী। এদিকে ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাজির থাকতে হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে।
এদিন মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। চূড়ান্ত পর্বের মনোনয়নে অন্যদের সঙ্গে অর্ষাও ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা মায়ের কাছ থেকে কয়েক ঘণ্টার ছুটি নিয়ে উত্তরার বাসা হয়ে শেরেবাংলা নগরের অনুষ্ঠানে পৌঁছান। কিন্তু তখনো মাকে বলেননি, কোথায় যাচ্ছেন। শুধু বলেছেন, একটা কাজে যাচ্ছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তির পর ট্রফি হাতে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকেরা অসুস্থ মাকে জানান, অর্ষা আপু তো পুরস্কার পেয়েছে আন্টি। সেই ঘটনা এভাবেই বললেন অর্ষা, ‘জীবনে প্রথমবার এই পুরস্কার পেলাম। কিন্তু অনুভূতি অসাড়তায় পরিপূর্ণ।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে হঠাৎ মায়ের ফোন, “তুমি কি কোনো পুরস্কার পেয়েছে?” জিজ্ঞেস করলাম, কেমনে জানলা। মা বললেন, “হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারেরা বলাবলি করছিল।” বললাম, হ্যাঁ, মা পুরস্কার পেয়েছি। মা বললেন, “কোথায় গেছ তুমি? কই আমাকে তো কিছু বলোনি।” মা, তুমি অসুস্থ, তাই বলিনি। “যাক, তুমি পুরস্কার পেয়েছ, আলহামদুলিল্লাহ। এখন একটা ছবি তুলে ফেসবুকে দাও।” তারপর দিলাম। মা ভীষণ খুশি হয়েছেন। এটাই আসলে আনন্দের!’