রংপুর মেডিকেলে ৫৩৭ যন্ত্র নষ্ট, রোগীর কষ্ট
নজির হোসেনের বাড়ি রংপুর সদরের বড়বাড়ি এলাকায়। বয়স ৭৫ বছর। ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ট্রোক হয়। সেদিন তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মস্তিষ্কের নালিতে রক্ত জমাট বেঁধেছে, নাকি রক্তনালি ফেটে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে, তা জানার জন্য সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানো হয়নি। কারণ, দুটি যন্ত্রই বহুদিন ধরে নষ্ট।
১০ সেপ্টেম্বর সকালে নজির হোসেনকে নেওয়া হয় জেল রোডের মেডিকেল মোড়ের বেসরকারি রোগনির্ণয় সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে। সিটি স্ক্যান শেষে তাঁকে ফেরত আনা হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাত আটটায় সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ও ফিল্ম হাতে পান নজির হোসেনের ছেলে মহুবার রহমান।
সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি থেকে বের হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢোকার মুখে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মহুবার রহমানের কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আব্বাকে হাসপাতালের বাইরে নিতে অনেক ঝামেলা হয়েছে, আব্বারও অনেক কষ্ট হয়েছে। হাসপাতালে যন্ত্র ঠিক থাকলে আমাদের এত দুর্ভোগ হতো না।’
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ভোগান্তি
- নষ্ট
- যন্ত্রপাতি
- মেডিকেল টেস্ট