কেউ কেউ জীবনেও ভুলবেন না মাখোঁর এ সফর
ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময়সীমা ছিল ২৪ ঘণ্টারও কম। রবিবার রাত ৮টার পর ঢাকায় পা রাখেন তিনি। সোমবার বিকেলেই আবার উড়াল দেন ফ্রান্সের উদ্দেশে। সংক্ষিপ্ত এ সফরের পুরো সময়টা অবশ্য মাখোঁ মাতিয়ে রেখেছিলেন অনেককে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে চায়ের দোকানি, নৌকার মাঝি, সংগীতশিল্পী সবাই পেয়েছেন তার স্পর্শ । তাদের কেউ কেউ জীবনেও ভুলবেন না ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সফরটি।
সফরের প্রথম দিন রবিবার রাতে গানের দল ‘জলের গান’র সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রশিল্পী রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাসার স্টুডিওতে যান মাখোঁ। সেখানে বসে তিনি গান শোনেন। যা তাকে বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। শুধু গান শোনা নয় মাখোঁ উপহার হিসেবে পেয়েছেন একতারা। রাহুল আনন্দকে দিয়েছেন কলম উপহার।
সোমবার মাখোঁ যান ঢাকার গাবতলীর পাশে তুরাগ নদে। সেখানে নৌকা ভ্রমণ করেন। মাঝিমাল্লাদের নৌকাবাইচ উপভোগ করেন। জেলেদের জাল ফেলে মাছ ধরাও দেখেছেন। স্থানীয় দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেন। চা বিক্রেতার সেলফির আবদারও মিটিয়েছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে গাবতলীর কাছে আমিনবাজারের বড় বাজারে তুরাগ পাড়ে যান মাখোঁ। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অতিবাহিত করেন।
সেখানকার মিষ্টির দোকানের মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আমার দোকানে আসবে আমি এটা ভাবতেও পারিনি। তিনি আমার দোকান ঘুরে দেখেছেন। আমি তাকে শিঙারা, জিলাপি ও চমচম দিলাম খাওয়ার জন্য। তিনি একটি শিঙারা সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন, বললেন তিনি সেটা খাবেন।