জটিল বিশ্ব অর্থনীতির সরল সমীকরণ
চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি নানা চমকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাপানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চীনের প্রবৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রি ছিল পূর্বাভাসের চেয়ে দ্বিগুণ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নিয়মিত সুদহার বৃদ্ধি করে গেছে।
যুক্তরাজ্যে মজুরি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ ও প্রকৃত মূল্যস্ফীতিও দুই অঙ্কের কাছাকাছি। যদিও টানা ১৪ বার সুদহার বাড়িয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (আরো একবার বাড়ানো হতে পারে)। এদিকে ব্রাজিল ও চিলি উভয়ই সুদের হার কমিয়েছে, যদিও বাজারে প্রত্যাশা ছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ দীর্ঘ সময় সুদের হার উচ্চ রাখবে।
বৈশ্বিক অর্থনীতি যে নানা অস্বাভাবিকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বর্ণিত প্রেক্ষাপটগুলো তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কার্বন নিরপেক্ষ জ্বালানিতে রূপান্তর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপ্লব এবং অন্যান্য উদ্ভাবনসৃষ্ট পরিবর্তনও এতে যুক্ত হচ্ছে। এর সঙ্গে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক ও আর্থিক বিশ্বায়ন থেকে বের হয়ে আসাকে যোগ করলে সম্ভাব্য পরিস্থিতির পরিসর বিস্তারিতভাবে উন্মোচিত হবে।
এ ধরনের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও কিছুটা অপ্রথাগত পরিস্থিতিতে (যা আবার বেনজীর) করণীয় নির্ধারণ বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এমন একটা সময়েই আমি একটি সাধারণ বিশ্লেষণাত্মক কাঠামোতে ফিরে আসাকে বিশেষভাবে দরকারি বলে মনে করি, যা আমি অর্থনীতিবিদ হিসেবে আমার কর্মজীবনের প্রথম দিকে শিখেছি। সেটি হলো, একটি হ্রাসকৃত গঠন সমীকরণের চরম সংস্করণ, যা অর্থনীতিবিদরা কিছু ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করতে হাতেগোনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ফোকাসে ব্যবহার করেন। এ বিষয়গুলো হয়তো কোনো ঘটনাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করতে পারে না, তবে কৌশলটি অসম্ভব বড় এবং অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করার চেয়ে ভালো।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বিশ্ব অর্থনীতি
- বৈশ্বিক অর্থনীতি