কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকৃত মালিক কে!

শেয়ার বিজ প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৫

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ উদ্বোধন করা হয়েছে সম্প্রতি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীন এ প্রকল্পে জমি দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিনিয়োগকৃত অর্থের একটি অংশ দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশ সরকার। তবে এটির মালিকানা ২৫ বছর থাকবে থাইল্যান্ড ও চীনভিত্তিক ৩টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। টোলও আদায় করবে তারা। কারণ এক্সপ্রেসওয়ের চুক্তিই করা হয়েছিল এভাবে।


চুক্তি অনুসারে, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নকশা প্রণয়ন, নির্মাণকাজের অর্থ জোগাড় করবে এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি চালুর পর তা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। ২৫ বছর পর বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিনিয়োগকারীরা এটি হস্তান্তর করবে। এর আগে টোল আদায় করে বিনিয়োগকৃত অর্থ সুদাসলে তুলে নেবে বিনিয়োগকারীরা। তবে দৈনিক সাড়ে ১৩ হাজারের কম গাড়ি চললে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হবে।


এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ছয় হাজার কোটি টাকার জমি বিনা মূল্যে দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এমনকি তারা টোলের কোনো অংশও পাবে না। শুধু তা-ই নয়, বরং এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করে নির্ধারিত সময়ে নিচের জমি রেলওয়েকে হস্তান্তর করেনি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এতে ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প আটকে আছে এক দশকের বেশি সময় ধরে। জমি বুঝে না পাওয়ায় রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ করা যাচ্ছে না।


সূত্রমতে, ২০০৯ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প নেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে এটি ঢাকা বাইপাস করে নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। তবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তাতে আপত্তি জানায়। ঢাকার বাইরে নির্মাণ করলে লোকাল যানবাহন চলাচল করবে না; ফলে টোল আদায় ও নির্মাণব্যয় উঠবে না বলে আপত্তি তোলা হয়। এতে ঢাকার ভেতর দিয়ে এটি নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। এরপর রুট চূড়ান্ত করা ও নকশা প্রণয়নেই দুই বছর চলে যায়। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্রথমে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে নির্মাণ চুক্তি সই হয়। ওই বছর ৩০ এপ্রিল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শুরুতে ইতাল-থাই কোম্পানির সঙ্গে ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকায় চুক্তি হয়। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে এক্সপ্রেসওয়েটি চালু করার কথা ছিল। কিন্তু অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় সময়মতো কাজ শুরু করা যায়নি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত জমি ব্যবহার কমাতে এর নকশায় কিছু পরিবর্তন আনার কারণে ২০১৩ সালে ২৩৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে চুক্তি সংশোধন করা হয়।


চুক্তি অনুসারে, মূল কাঠামো নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার, যা ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড (ভিজিএফ) নামে পরিচিত। ভিজিএফ হিসেবে ছয় কিস্তিতে সরকারের দুই হাজার ৪১৪ কোটি টাকা দেয়ার কথা। এক্সপ্রেসওয়েটি মগবাজার পর্যন্ত অংশের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এ অর্থ ছাড় শুরু হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও